menu search
brightness_auto
আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ | প্রশ্ন এবং উত্তর প্রদান করে আমাদের সাইট থেকে আয় করতে পারবেন | তাই দেরি না করে এখনই একাউন্ট করেন |

রিয়াজ উদ্দীন এর দেওয়াল

এই দেওয়ালে পোস্ট করতে চাইলে দয়া করে প্রবেশ করুন কিংবা নিবন্ধিত হউন
খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় একদিকে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের জীবনে উঠেছে নাভিশ্বাস, আরেকদিকে ধনীক সম্প্রদায় ভারতের বলিউড টালিউডের অভিনেত্রীদের উড়িয়ে এনে ঢাকায় বিয়ের অনুষ্ঠান করছে।
তার মানে অর্থনৈতিক সঙ্কটের কোনো প্রভাব ধনীদের লাইফে পড়ে নাই। পড়বেও না। এই ভোগবাদী, বস্তুবাদী জীবনব্যবস্থার নিয়ম হলো- এখানে দুর্ভিক্ষ, মহামারী, যুদ্ধ-সংঘাত যাই ঘটুক না কেন; তাতে সম্পদশালীর সম্পদ আরও ফুলে ফেঁপে উঠবে আর গরীবের হাহাকার আরও তীব্র হবে। দেশের সিংহভাগ মানুষও যদি খাদ্যাভাবে মরে ভুত হয়ে যায়, তখনও দেখবেন দেশের ধনীক শ্রেণির ভুড়িতে আধামন চর্বি থলথল করছে। গরীবের ক্ষুধা নিয়েও অনেকে রমরমা ব্যবসা জুড়ে দিবে এবং রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবে।
যারা দেশের কর্ণধার, তাদেরই বা কিসের ঠেকা পড়েছে গরীবের কথা ভাবার? তাদের বেতনভাতা, উপরি ও স্পিড মানি যতদিন সচল থাকবে, তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেশকে সিঙ্গাপুর বানানোর স্বপ্ন দেখতে থাকবে। তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি খাটিয়ে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য পর্যন্ত জানতে পারবে, শুধু জানতে পারবে না মানুষের হাহাকার, দুরবস্থার কথা! দেশে দুর্ভিক্ষ লেগে গেলেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা আগে যেই মানের জীবনযাপন করতেন, সেটাই অব্যাহত রাখবেন। তাদের বউরা যে মানের কাপড় পরতেন, যেই দেশে শপিং করতেন, তাদের ছেলে মেয়েরা যেই দেশে পড়াশোনা করতে যেতেন, যেই ব্র্যান্ডের গাড়িতে চড়তেন, যেভাবে বিয়ে-সাদী ইত্যাদি উদযাপন করতেন, তাই চলতে থাকবে। তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না নিজেদের ভোগ-বিলাসিতা এতটুকু কমিয়ে দশটা টাকা সাশ্রয় করে গরীবের নুন ভাতের যোগানে সাহায্য করা।
না, এ অবিচার চলতে পারে না। এই অর্থব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবা দরকার। একদিকে মানুষ খাবারের অভাবে ছটফট করবে, আরেকদিকে নগ্ন বিলাসিতায় মেতে উঠবে ধনীক সম্প্রদায়- এইটা কোনো সভ্য সমাজের চিত্র হতে পারে না! এই চিত্র থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার বোঝা যায়- অর্থনৈতিক ক্রাইসিস আমাদের সমাজের সম্পদশালীদের টিকিটাও এখনও স্পর্ষ করতে পারেনি, অথচ জনসাধারণের দিশেহারা অবস্থা তৈরি হয়েছে! অর্থনৈতিক সঙ্কট যদি আসে তাহলে সবার জীবনেই আসবে। কম বেশি সবাই তার ভোগান্তি পোহাবে। তার বদলে সঙ্কটের বোঝা থেকে ধনীদের মুক্তি দিয়ে গরীবের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার যে আলামত দেখা যাচ্ছে, সেটা কিন্তু ভয়াবহ পরিণতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সম্ভবত খুব কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জনগণের সামনে। তাদের দুঃখ, সঙ্কট, ভোগান্তি, ক্ষোভ, আকুতি ও অসহায়ত্ব বোঝার মতো কেউ আছে বলে মনে হয় না।

392,493 টি প্রশ্ন

384,181 টি উত্তর

136 টি মন্তব্য

1,286 জন সদস্য

এখানে প্রকাশিত প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোনপ্রকার আইনি সমস্যা সবজানো.কম বহন করবে না৷
...