সঠিক উত্তর হচ্ছে: প্রশাসন
ব্যাখ্যা: ? মৌলিক শব্দ : \r\n\r\nযে সব শব্দকে বিশ্লেষণ করলে আর কোন শব্দ পাওয়া যায় না, তাদেরকে মৌলিক শব্দ বলে। [উত্তরা ব্যাংক লি. অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (ক্যাশ): ০৮; বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক: ০১] অর্থাৎ যে সব শব্দকে ভাঙলে আর কোন অর্থসঙ্গতিপূর্ণ শব্দ পাওয়া যায় না, তাকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমন- গোলাপ [১৪তম ও ৩৬তম বিসিএস; প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক (এক্সিকিউটিভ অফিসার): ১৯], নাক, লাল, তিন, কালো [১৫তম প্রভাষক নিবন্ধন (কলেজ): ১৯], ফুল [সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার: ১২] ইত্যাদি। \r\n\r\nএই শব্দগুলোকে আর ভাঙ্গা যায় না বা বিশ্লেষণ করা যায় না। আর যদি ভেঙ্গে নতুন শব্দ পাওয়াও যায়, তার সাথে শব্দটির কোন অর্থসঙ্গতি থাকে না। যেমন : উদাহরণের গোলাপ শব্দটি ভাঙলে গোল শব্দটি পাওয়া যায় কিন্তু গোলাপ শব্দটি গোল শব্দ থেকে গঠিত হয়নি। এই দুটি শব্দের মাঝে কোন অর্থসঙ্গতিও নাই। তেমনি ‘নাক’ শব্দটি ভেঙ্গে ‘না’ বানানো গেলেও ‘নাক’ শব্দটি ‘না’ শব্দটি থেকে আসেনি। অর্থাৎ এই শব্দগুলো মৌলিক শব্দ। ‘গোলাপ’ শব্দটির সাথে ‘ই’ প্রত্যয় লাগিয়ে ‘গোলাপি’ বানাতে পারি এবং ‘নাক’ শব্দটির সাথে ‘ফুল’ শব্দ যোগ করে ‘নাকফুল’ বানাতে পারি। \r\n\r\n? সাধিত শব্দ : যে সব শব্দকে বিশ্লেষণ করলে অর্থসঙ্গতিপূর্ণ ভিন্ন একটি শব্দ পাওয়া যায়, তাদেরকে সাধিত শব্দ বলে। মূলত, মৌলিক শব্দ থেকেই বিভিন্ন ব্যাকরণসিদ্ধ প্রক্রিয়ায় সাধিত শব্দ গঠিত হয়। মৌলিক শব্দ সমাসবদ্ধ কিংবা প্রত্যয় বা উপসর্গ যুক্ত হয়ে সাধিত শব্দ গঠিত হয়। যেমন :\r\n\r\nচাঁদের মত মুখ (সমাসবদ্ধ হয়ে) = চাঁদমুখ [পররাষ্ট্র মন্ত্র. ব্যাক্তি. কর্মকর্তা: ০৬] ডুব + উরি (প্রত্যয় সাধিত হয়ে) = ডুবুরি\r\nপ্র + শাসন (উপসর্গযোগে) = প্রশাসন