রেজিস্টর হচ্ছে ইংরেজি শব্দ ( Resistor) এর অর্থ হচ্ছে রোধক বা বাঁধা! এটা সাধারনত ভোল্টেজ এর মধ্যে বাঁধা সৃষ্টি করে থাকে। এই বাঁধা প্রধনকারীকে রেজিস্টর বলে।
অথবা,
ইলেকট্রনিক্স কোনো সার্কিটে তারিৎ প্রবাহের মধ্যে বাঁধা সৃষ্টিকারীকে রেজিস্টর বলে।
এখানে Resistor বিষয়ে জানতে হলে রেজিস্টরের আরেকটি বিষয় রেজিস্ট্যান্স নিয়েও আমাদের প্রথমে জানা অব্যশই দরকার!
রেজিস্ট্যান্স কি?
রেজিস্ট্যান্স ( Resistance ) হচ্ছে পরিবাহীর একটি বিশেষ ধর্ম। পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত বিঘ্নিত হয় বা বাধা পায় তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে।
রেজিস্টরের প্রতীক
রেজিস্টরকে সাধারনত ( R ) দিয়ে বোঝানো বা প্রকাশ হয়। এবং রেজিস্টরের একক হচ্ছে ওহম বা (Ω) চিহ্ন টি !সাধারনত ইলেকট্রনিক্স সার্কিট বোর্ডে আমরা (R1) (R2) (R3) (R4) (R5) এরকম লেখাগুলো দেখতে পাই। মনে করবেন এই লেখাগুলোর কম্পোনেন্টই হবে রেজিস্টর। ওখানে নির্দিষ্ট মানের রেজিস্টর বসবে ।
অতএব, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন যে এখানে রেজিস্টরকে R ধারা প্রকাশ করা হইছে। এবং নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট মানের রেজিস্টর লাগানো হয়েছে।
রেজিস্টরের প্রকার
রেজিস্টর সাধারনত ২ প্রকার। কিন্তু এই দুই প্রকারের ভিতর আবার আরো কিছু প্রকারভেদ রয়েছে।
১. ফিক্সড রেজিস্টর
১.১ কার্বন রেজিস্টর
কার্বন ফিল্ম
কার্বন কম্পোজিট
কার্বন পাইল
প্রিন্টেড কার্বন
১.২ মেটাল রেজিস্টর
মেটাল আক্সাইড ফিল্ড
মেটাল ফিল্ড
১.৩ অন্যান্য রেজিস্টর
চিপ
ওয়্যায় উন্ড
থিক
ফিল্ম
ফয়েল
২. ভেরিয়েবল রেজিস্টর
২.১ কার্বন রেজিস্টর
কার্বন টার্নিং রেজিস্টর
২.২ অন্যন্য রেজিস্টর
চিপ ভেরিয়েবল
রেজিট্যান্স ডিকেড
এডজাস্টেবল
পটেনশিওমিটার
ফিক্সড রেজিস্টর
যে রেজিস্টর তৈরি করার সময় মান ফিক্সেড বা একভাবে মান নির্ধারিত করে দেওয়া হয় তাকে সাধারনত ফিক্সড রেজিস্টর বলে। এই রেজিস্টরের মান কোনো সময় পরিবর্তন করা যাবে না। এবং কোনো কারনে এই রেজিস্টরের মান পরিবর্তিত হবে না।
ভেরিয়েবল রেজিস্টর
যে রেজিস্টরের মান নির্ধারিত করে দেওয়া থাকে না এবং প্রয়োজন অনুসারে এটার মান পরিবর্তন করা যায় তাকে ভেরিয়েবল রেজিস্টর বলা হয়। এটা যে কোনো সময়ে মান কমানো বাড়ানো যায়।
রেজিস্টরের কাজ
রেজিস্টরের কাজ মূলত কারেন্ট প্রবাহকে বাঁধা দেওয়া ও ভোল্টেজ কে ড্রপ করা। ইলেকট্রনিক্সের সকল সার্কিটে কারেন্ট কে বাঁধা ও ভোল্টেজ কে ড্রপ করার জন্য এই কম্পোনেন্টি ব্যবহার করা হয়।
এখন অনেকের মনে অনেক রকমেরই ধারনা আসতে পারে যে কেন এই কারেন্টে বাঁধা প্রদান করা হয়? এটা বাদ দিয়ে সরাসরি দিলেই তো হয়। এতে ভোল্টেজ বেশি পাবে জিনিস টাও ভাল চলবে।এরকম ধারনা যুদি কেউ করে থাকেন তাহলে এটি পুরোপুরি ভূল ধারনা!
তাহলে আমার ছোট্ট একটা উদাহরণ দিতেই হয়। সাধারন একটা ( LED Light ) দিয়েই শুরু করি!মনে করেন, ( LED Light ) সার্কিটের ভোল্টেজ রেঞ্জ 3 Volt থেকে 4 Volt পর্যন্ত। এখন ওই LED গুলো চলাকালীন সময়ে কোনো কারনে সোর্স ভোল্টেজ 4 V + অর্থাৎ 4 V এর বেশি ভোল্টেজ প্রবাহিত হলে LED গুলো কেটে বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এর জন্য রেজিস্টর ব্যাবহার করতে হয়। যেন ওই ভোল্টেজ বাড়ার সময় ভোল্টেজ কে ড্রপ করিয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ পরিমাপ মতো রেজিস্টর লাগালে ওই 4 V এর বেশি ভোল্টেজ LED সার্কিটে প্রবেশ করবে না।
তাছারা রেজিস্টর শুধু LED এর ক্ষেত্রে নয় আমি এটা শুধু আপনাদের একটু উদাহরণ দেওয়ার জন্য তুলে ধরেছি । এটা ইলেকট্রনিক্সের বিভিন্ন কম্পোনেন্ট কেও বাঁধা প্রধান করে থাকে। এতে ইলেকট্রনিক্স সার্কিটের কোনো কম্পোনেন্ট নষ্ট হয় না।
রেজিস্টরের পাওয়ার রেটিং
সার্কিটের রেজিস্টর কারেন্ট প্রবাহের সময়ে গরম সৃষ্টি হয়। রেজিস্টরের ওই গরমের কারনে কিছু পাওয়ার অপচয় হয়। এই তাপমাত্রাটি হওয়ার কারন শুধু উক্ত কারেন্টের উপড় নির্ভয় করে। কারেন্ট প্রবাহ বেশি হলে।
ওই রেজিস্টরটি বেশি গরম হবে। আর যুদি কারেন্ট অনেক বেশি আকারে প্রবাহ করে তাহলে রেজিস্টরটি পুড়ে যাবে। এবং যুদি কারেন্ট প্রবাহ কম থাকে তাহলে রেজিস্টরটি কম গরম হবে এটাই স্বাভাবিক।যে পরিমান পাওয়ার অপচয় হলে রেজিস্টরটি পূর্ণদক্ষতার সাথে কাজ করে অনেকদিন টিকে থাকতে পারে তাকে সাধারনত ওই রেজিস্টরের পাওয়ার রেটিং বলে।