আমরা যদি কোন ব্যক্তির সাবির্ক দিক বিবেচনা করতে যাই তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই ভাবতে হবে ব্যক্তিটি সুশিক্ষিত কিনা? ঠিক তদ্রুপ একটি জাতির ভালো ও মন্দ সার্বিক দিক বিবেচনা করতে আমাদের সামনে প্রথম যে প্রশ্নটি আসে, তা হল জাতিটি সুশিক্ষায় শিক্ষিত কি না অর্থাৎ যে জাতি যত বেশি সুশিক্ষা অর্জন করতে পারবে সেই জাতিহিসাবে তত বেশি ভদ্র, আদর্শবান, অন্যায়ের প্রতিবাদকারী, ন্যয়পরায়ন, ধর্মভীরু ও দূর্ণীতি মুক্ত হবে। এতে শুধু আমার না বরং অন্যান্য সকলের সন্দেহ থাকার কথা না। ইহা সামান্য কোন আশা থেকে নয় গভীর বিশ্বাস থেকে বলছি। সুশিক্ষা অর্জনের ফলে মানুয়ের শুধুমাত্র বাহ্যিক পরিবর্তন ঘটেনা, বাহ্যিক পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষিক চিন্তা- চেতনা ও বিবেক-বিবেচনারও পরিবর্তন ঘটে অনেক বেশি। পৃথিবীর আর দশটি চিরন্তন সত্য বাণীর মাঝে এটি একটি অন্যতম সত্য বাণী। এ সব অনেক পুরাতন কথা তাই মানুয় আর শুনতে চায় না। কারণ আমরা অর্থহীনভাবে সুশিক্ষার নামে এতো বেশি চিৎকার-চেচামেচি করেছি যে, এখন সুশিক্ষা শব্দটি শুনতে অথবা বলতে খারাপ লাগে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না।
আপনাদের মাঝে হয়তোবা অনেকের জানা আছে তারপরেও আপনাদের আবারও বলছি, এক মুচির নিকট হতে রাসূল (সাঃ) শুধুমাত্র একটি শিক্ষা অর্জন করেছিলেন তা হচ্ছে কুকুর যখন সাবালক হয় তখন সে একপা উপরে তুলে প্রসাব করে । শুধুমাত্র এতটুকু শিক্ষার কারনে রাসূল (সাঃ) পরবর্তীতে আর কোনদিন জুতা পায়ে মুচির বাড়িতে যাননি । এখন প্রশ্ন হচ্ছে কে ছিলেন এই রাসূল (সাঃ)? এই প্রশ্নের উত্তর খুর সহজ মনে হলেও সত্যিকার অর্থে কিন্তু এতটা সহজ না। কারন এই মহামানব ছিলেন এমন একজন ব্যক্তি যাকে উপাধি দেওয়া হয়েছিল, পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যত মহামানব এসেছিলেন এবং যত আদর্শবান শিক্ষকের জন্ম হয়েছিল ও ভবিষ্যতে যত মহামানব আসবেন এবং যত আদর্শবান শিক্ষক জন্ম নিবেন তারা সকলেই যে যে ধর্মেরই হোকনা কেন তিনি সবারই শিক্ষক। অর্থাৎ রাসূল (সাঃ) সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ শিক্ষক। সেই তিনি প্রমান করে গেছেন একজন শিক্ষকের মূল্য বা সম্মানের পরিমাণ কতটুকু এবং আরও দেখিয়ে গেছেন যে, একজন শিক্ষককে কিভাবে সম্মান করতে হয়। শিক্ষক ছোট হোক বা বড় হোক অথবা যে ধর্মেরই হোক না কেন সবকিছুর উর্ধ্বে শিক্ষকের সম্মান থাকে অটুট। কারন যিনি শিক্ষক তিনি স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রুমে শিক্ষক,বারান্দায় শিক্ষক,রাস্তা ও পথ-ঘাটেও শিক্ষক,সর্বশেষে তিনি যখন পৃথিবী ছেড়ে যাওযার জন্য শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঠিক সেই মুহুর্তে তার গায়ে শিক্ষক নামটি অংকিত থাকে কলঙ্কহীন।