menu search
brightness_auto
আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ | প্রশ্ন এবং উত্তর প্রদান করে আমাদের সাইট থেকে আয় করতে পারবেন | তাই দেরি না করে এখনই একাউন্ট করেন |
more_vert
thumb_up_off_alt 0 like thumb_down_off_alt 0 dislike

1 Answer

more_vert

যৌন মিলন দীর্ঘস্থায়ী করতে সব পুরুষই চায়। প্রত্যেকটি পুরুষ চায় পরিপূর্ণ ভাবে যৌন মিলন করতে। তবে নানান রকম কারণে মানুষের যৌনস্বাস্থ্য এবং যৌন মিলন করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। পৃথিবীতে অধিকাংশ দম্পতিই কোনো না কোনো এক সময় এই অভিযোগটা করেন, যে বিয়ের কিছু বছর পরেই পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে যায়।

সাধারনত অধিক সময় নিয়ে যৌন মিলন করাটা পুরুষের সক্ষমতার উপরই নির্ভর করে। তথাপি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে পুরুষরা তাদের মিলন কাল দীর্ঘায়িত করতে পারেন। তবে কে কতটা দীর্ঘ সময় নিয়ে যৌন মিলন করবে এটা অনেকটাই তাদের চর্চার উপর নির্ভর করে থাকে। আসুন জেনে নিই মিলন দীর্ঘায়িত করার কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে।

সবচাইতে বড় যে ভুলটি করেন বেশিরভাগ মানুষ, সেটা হলো বিয়ের পর নিজেকে আর আগের মত যত্ন না করা। নিজেকে সাজানো, নিজের সৌন্দর্য রক্ষা করা, শরীর সুগঠিত রাখা ইত্যাদি কাজগুলো করেন না। সময়ের সাথে সাথে জীবন থেকে হারিয়ে যায় নিজেকে সুন্দর দেখাবার প্রয়াস। স্বভাবতই সঙ্গীর চোখেও আপনি হয়ে পড়তে থাকেন সাদামাটা। অনেক ক্ষেত্রে কুত্সিতও! বিয়ে হয়ে গেলো মানেই ফুরিয়ে গেছে সব? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাই হয়। কেবল দুজনে কোথাও বেড়াতে যাওয়া, একটা রোম্যান্টিক ডেট, রোম্যান্টিক মেসেজ চালাচালি এসব যেন কোথায় হারিয়ে যায়। এমনকি যৌন জীবনটাও হয়ে পড়ে একদম একঘেয়ে। অনেকেই মনে করেন, বিয়ে তো হয়েই গেছে! এখন আর এসব করে কী লাভ? আরে, বিয়ের পরই তো এসবের বেশী প্রয়োজন। রোমান্টিকতার চর্চা করুন মানসিক ও শারীরিক ভাবে। প্রেম ও যৌনতার দুনিয়া, দুটোকেই ভরিয়ে রাখুন নতুনত্বে। এবার এক নজরে দেখে নিন যৌন মিলন দীর্ঘস্থায়ী করার আরো কিছু কার্যকারী উপায় সম্পর্কে।

✅ মাঝে মাঝে একটু দুরত্ব বজায় রাখুন :
একটি খাবার যদি আপনি প্রতিদিন খান, কেমন লাগবে আপনার? কিংবা এক সিনেমা যদি রোজ দেখেন? সারাক্ষণ পরস্পরের সঙ্গে থাকলেও তাই হয়। কখনো তাঁকে ছাড়াই বেড়াতে যান। বন্ধুদের সঙ্গে মিশুন, নিজেকেও সময় দিন। একটু দূরত্ব সম্পর্কের জন্য ভালো।

✅ খিটখিটে হয়ে যাওয়া :
একটা জিনিষ সব সময় মনে রাখবেন যে, তিনি আপনার স্ত্রী বা স্বামী হলেই তার সাথে খারাপ ব্যবহার করার অধিকার আপনি রাখেন না। বরং তার সঙ্গেই করতে হবে সবচেয়ে ভালো ব্যবহার। কী বা যাবে আসবে, বিয়েই তো করেছি। এই ভাবনা অবিলম্বে ত্যাগ করুন।

✅ মনের যৌন উত্তেজনা কম করুণ:
প্রত্যেক যুবক যৌবনবতী নারীর দিকে তাকাতে বা তার সঙ্গে মিশতে ভালবাসে। এই তাকানোর মধ্যে একপ্রকার যৌনোত্তেজনা মনে জাগে যদি কোন সুন্দরী নারীর দেহের কিছুটা অংশ দৃষ্টিগোচর হয়, তাহলে উত্তেজনার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আধুনিককালে মেয়েরা, যুবতীরা যে ভাবে দেহের বিশেষ বিশেষ অঙ্গ অনাবৃত রেখে জামাকাপড় পরে তাতে পুরুষের যৌন উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া সিনেমায়, সিনেমার বিজ্ঞাপনে, টেলিভিশনে, স্নানের ঘাটে অথবা সমুদ্রতীরে, বিজ্ঞাপনে অর্ধ নগ্ন নারীদেহ নিয়তই পুরুষের মনে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এই উত্তেজনার ক্রমাগত আঘাত পুরুষের স্নায়ুচক্রের অনুভূতিকে ভোঁতা করে দেয়। তাই, পুরুষ যখন কোন জীবন্ত নারীর নগ্নদেহের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসে বা খারাপ ছবি দেখে কিংবা চটি গল্প পড়ে-তখন তাঁর মধ্যে যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, সেই উত্তেজনাই তাঁর স্নায়ুদের বিকল এবং অনুভূতিহীন করে দেয়। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ উত্তেজনা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। কিন্তু পুরুষ মাত্রকেই 'চরম উত্তেজনা' এবং 'মাত্রামতো উত্তেজনা' এর মাঝে সীমারেখা টানতে শিখতে হবে। মনে উত্তেজনার শিহরণ যত কম হবে পুরুষের যৌন মিলন করার ক্ষমতা তত বেশী শক্তিশালী হবে। এমন অনেক অবিবাহিত বা সদ্যবিবাহিত যুবক আছেন-যারা যৌন জীবনের সঙ্গিনীর কাছে গেলেই লিঙ্গ থেকে কামরস ক্ষরণ হতে শুরু করে-তারপর সঙ্গিনী যখন মিলন কামনা করে তখন লিঙ্গে উত্তেজনা হয় না।

✅ বাইরের টেনশন ঘরে  নয় :
আপনার আর্থিক দুঃশ্চিন্তা, চাকরি বা ব্যবসা ক্ষেত্রের উদ্বিগ্ন মনোভাব, সংসারের অন্যত্র সংঘটিত কোন কলহজনিত অশান্তি, আপনার দাম্পত্যশয্যায় বয়ে নিয়ে যাবেন না। ঐ দ্বন্দ্ব কহলজাত যে উদ্বিগ্ন মনোভাব, তা পুরুষের যৌন মিলন করার ক্ষমতা স্তিমিত করে দেয়, পুরুষকে উত্তেজনাহীন করে দেয়। আজকের পৃথিবীতে এত বেশী ব্লাডপ্রেসারের আমদানীর মূলও মানসিক উদ্বেগ। মানসিক উদ্বেগ দেহের স্বাভাবিক কর্মপদ্ধতিতে বাধা সৃষ্টি করে। দেহের প্রত্যেক বিভাগ এই উদ্বেগের জন্য আহত হয়। পাকস্থলী এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে, আর যেসব স্নায়ু যৌনাঙ্গকে পরিচালনা করে তারা এর প্রভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু মধ্যবয়সী পুরুষ এই জাতের মানসিক উদ্বেগের জন্য যৌনজীবনে নিরুত্সাহ হয়ে পড়েন-শেষে একেবারে যৌন মিলন করতে অক্ষম হয়ে পড়েন।

✅ ধূমপান মদ্যপান বাদ দিন: 
যারা ধূমপান করেন তারা বোধ হয় লক্ষ্য করেছেন যে মানসিক অশান্তি বা উদ্বেগের সময় মানুষ খুব বেশী ধূমপান করে। ধূমপান করলে শরীরে যে নিকোটিনজাত উত্তেজনা সৃষ্টি হয় তা স্নায়ুর উপরে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তাতে সাময়িক উদ্বেগ বাড়ে এবং স্নায়ুবিক দৌর্বল্য আধিক্য লাভ করে। তামাকের নিকোটিন মানুষের রক্তকোষের উপরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। রক্তের কোষগুলি এর প্রভাবে একটার গায়ে আর একটা আটকে যায় এবং রক্ত চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি হয়। যৌন মিলন করার জন্য অবশ্যই রক্ত প্রবাহের সঠিক গতি এবং চলাচল ক্রিয়া অত্যন্ত দরকারী। আবার মাত্রাতিরিক্ত মদ্যমান মানুষের স্নায়ু এবং অনুভূতি শক্তিকে ভোঁতা করে দেয়।

✅ স্নায়ুর প্রক্ষেপ নিবৃত্তকারী ওষুধ এড়িয়ে চলুন :
আধুনিক যুগের জীবনযাত্রার অন্যতম প্রধান সমস্যা মানসিক দ্বন্দ্ব এবং উদ্বেগ। এই উদ্বেগ মানুষকে এত বিব্রত করে তোলে যে, এর নিবৃত্তির জন্য মানুষ চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হয়। কোটি কোটি উদ্বিগ্ন মানুষের জন্য তাই চিকিত্সাবিজ্ঞান আবিস্কার করেছে হাজার হাজার মানসিক উদ্বেগ শান্ত করার ওষুধ। সারা বিশ্বে এইসব ওষুধ বিক্রি হচ্ছে বিড়ি সিগারেটের মতো। এইসব ওষুধ ব্যবহার করলে স্নায়ু এবং গ্রন্থিগুলি অনুভূতিশক্তি হারাতে থাকে। এরপর এমন এক সময় আসে যখন যৌন মিলন করার মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়।

✅ পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে হবে :
সাধারণ ভাবে শরীরকে সুস্থ এবং কর্মঠ রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও প্রোটিন যুক্ত খাদ্য খেতে হবে। দেহের স্নায়ুচক্রের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ভিটামিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, বিশেষ করে ভিটামিন বি-১, ভিটামিন ই । কারণ পুরুষের মিলন অক্ষমতার মূলে থাকে স্নায়ুতন্ত্রের অসাড়তা বা অসুস্থতা। প্রোটিন খাদ্য দেহকে শক্তিশালী এবং মজবুত করে রাখবে। যৌনমিলনে দৈহিক শক্তিরও বেশ একটা প্রয়োজনীয় স্থান আছে। খাদ্যের অভাবে, পুষ্টির অভাবে দেহ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। গ্রন্থিরা ঠিকমতো পুষ্টি পায় না-ফলে যৌনমিলনে যেসব জিনিস দেহের দরকার তারা নিস্তেজ থাকায় কাজ করে না বলেই যৌন অক্ষমতা দেখা দেয়।

✅ পর্যাপ্ত মুক্ত বাতাসে ব্যায়ম করুন:
যৌনক্ষমতা বজায় রাখার জন্য দেহের মাংসপেশীর স্বাস্থ্য যেমন দরকারি, তেমনি দরকার দেহের মধ্যে রক্তের সঠিক সঞ্চালন। আর এই দুইটির একটির জন্য দরকার নিয়মিত ব্যায়াম-অন্যটির জন্য মুক্ত বাতাস। ব্যায়াম করলে দেহের মাংসপেশীরা উপকৃত হবে, ঠিকমতো গড়ে উঠবে এবং বৃদ্ধি পাবে। আর মুক্ত বাতাস থেকে অক্সিজেন পেলে রক্ত চলাচল সঠিক হবে। যৌন উত্তেজনা হলে দেহের পেশীগুলি যেমন স্ক্রিয় হয়, তেমন রক্ত চলাচলের গতিও বৃদ্ধি পায়। চাইলে যোগ ব্যায়াম ও করতে পারেন।

✅ স্ত্রীর সহযোগিতা :
পুরুষের যৌন মিলন করার অক্ষমতা নারীর সহযোগিতা পেলে অনেকাংশে দূর হয়। যৌন জীবনের সঙ্গিনী যদি পুরুষকে সাহায্যে করে তাহলে যৌন মিলন অক্ষম পুরুষও দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। যৌন মিলন যে সঙ্গীর সঙ্গেই হোক না কেন, মনকে দৃঢ় রাখতে হবে, কোন প্রকার ভীতি সংশয় বা সন্দেহ মনে দেখা দিলে যৌন অক্ষমতা অনিবার্য হয়ে আত্মপ্রকাশ করে। তাই মিলন করার সময় নারীর চাওয়া পাওয়াকে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত।

thumb_up_off_alt 0 like thumb_down_off_alt 0 dislike

369,927 questions

363,148 answers

135 comments

1,227 users

78 অ্যাক্টিভ ইউজার
0 সদস্য 78 অতিথি
আজ ভিজিট : 27499
গতকাল ভিজিট : 80251
সর্বমোট ভিজিট : 53350812
এখানে প্রকাশিত প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোনপ্রকার আইনি সমস্যা সবজানো.কম বহন করবে না৷
...