সিরাজদ্দৌলার পূর্ণ নাম ও উপাধি:
মনসুর উল-মুল্ক সিরাজ উদ্দৌলা শাহ কুলী খান মির্জা মুহম্মদ হয়বৎ জঙ্গ বাহাদুর
উপাধি:
- মনসুর উল-মুল্ক: "ধর্মের রক্ষক"
- সিরাজ উদ্দৌলা: "রাজ্যের আলো"
- শাহ কুলী খান: "রাজাদের বংশোদ্ভূত"
- মির্জা: "প্রিন্স"
- মুহাম্মদ: "ঈশ্বরের প্রশংসিত"
- হয়বৎ জঙ্গ: "ভয়ঙ্কর যোদ্ধা"
- বাহাদুর: "সাহসী"
ব্যাখ্যা:
- মনসুর উল-মুল্ক: এই উপাধিটি সিরাজের ধর্মীয় ভাবনার প্রতিফলন। তিনি একজন ধার্মিক মুসলিম ছিলেন এবং তার রাজ্যে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্য কাজ করেছিলেন।
- সিরাজ উদ্দৌলা: এই উপাধিটি তার রাজনৈতিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের প্রতিফলন। তিনি একজন দক্ষ শাসক ছিলেন এবং তার রাজ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রেখেছিলেন।
- শাহ কুলী খান: এই উপাধিটি তার পারিবারিক বংশের প্রতিফলন। তিনি তুর্কী-পার্সিয়ান বংশোদ্ভূত ছিলেন এবং তার পূর্বপুরুষরা মুঘল সাম্রাজ্যে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
- মির্জা: এই উপাধিটি তার রাজকীয় মর্যাদার প্রতিফলন। তিনি একজন রাজপুত্র ছিলেন এবং তার পিতা আলীবর্দী খান বাংলার নবাব ছিলেন।
- মুহাম্মদ: এই নামটি ইসলামের নবী মুহাম্মদের নামানুসারে রাখা হয়েছিল।
- হয়বৎ জঙ্গ: এই উপাধিটি তার সামরিক দক্ষতা ও সাহসের প্রতিফলন। তিনি একজন দক্ষ যোদ্ধা ছিলেন এবং তার রাজ্যের শত্রুদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সফল যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন।
- বাহাদুর: এই উপাধিটি তার সাহস ও বীরত্বের প্রতিফলন। তিনি একজন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন এবং যুদ্ধে তার সাহসের জন্য পরিচিত ছিলেন।
উল্লেখ্য:
- সিরাজদ্দৌলা "নবাব" উপাধি ব্যবহার করতেন, যা "গভর্নর" বা "প্রশাসক" অর্থ বহন করে।
- সিরাজের পূর্ণ নামটি খুব কমই ব্যবহৃত হত। সাধারণত তাকে "নবাব সিরাজদ্দৌলা" বা "সিরাজ" বলা হত।