আসছালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক সবাই কেমন আছেন। আসা করি সবাই ভালো আছেন। বন্ধুরা আজকে আমরা তোমাদের আল্লাহর ৯৯ নাম বাংলা অর্থ সহ,পিকচার,ছবি ফজিলত,ও তাৎপর্য এবং সাথে আল্লাহর ৯৯টি নাম বাংলা অর্থসহ pdf download করার লিংক শেয়ার করবো।
আল্লাহর ৯৯ টি নামঃ– আমরা যারা মুসলমান আমরা সবাই আল্লাহর ৯৯ টি গুনবাচক নাম যে আছে এটা জানি। কিন্তু কয়জন আছে আল্লাহর ৯৯ টি নাম মুখস্থ পারেন। অনেক কিছুই তো মুখস্থ করেন এই গুলো কেন করেন না? আল্লাহর ৯৯ টি নাম মুখস্থ করার কত ফজিলত,তাৎপর্য আসুন জেনে নেই।
১. الله – আল্লাহ – আল্লাহ
যদি কেউ প্রতিদিন এই নামটি ১০০০ বার পাঠ করে, তবে আল্লাহ আপনার হৃদয় থেকে সমস্ত সন্দেহ এবং অনিশ্চয়তা দূর করবেন এবং দৃঢ় সংকল্প ও বিশ্বাসের ব্যবস্থা করবেন।
২. الرَّحْمَنُ – আর-রহমান – সবচাইতে দয়ালু, কল্যাণময়, করুণাময়
যিনি প্রত্যেক ফরয (বাধ্যতামূলক) নামাজের পর এই নামটি ১০০ বার পাঠ করবে আল্লাহ তার স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দিবেন, এবং ভারী হৃদয় থেকে মুক্ত হবে।
৩. الرحيم – আর-রহী’ম – অতিশয়-মেহেরবান
যিনি প্রত্যেক ফজর নামাজের পরে এই নামটি ১০০ বার পাঠ করবে তিনি প্রত্যেকে তার প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হতে দেখবেন এবং তিনি সমস্ত দুনিয়াবী বিপর্যয় থেকে নিরাপদ থাকবেন।
৪. الْمَلِكُ – আল-মালিক – অধিপতি
যে ফজরের নামাজের পরে প্রতিদিন এই নামটি বহুবার পাঠ করে সে আল্লাহর অনুগ্রহে ধনী হবে।
৫. الْقُدُّوسُ – আল-ক্বুদ্দূস – পূতঃপবিত্র, নিখুঁত
প্রতিদিন যদি কেউ এটি ১০০ বার পাঠ করে তবে বিপদ কখনই কাছে আসে না।
৬. السَّلَامُ – আস-সালাম – শান্তি এবং নিরাপত্তার উৎস, ত্রাণকর্তা
যে ব্যক্তি এই নামটি অসুস্থ ব্যক্তির কাছে ১৬০ বার পাঠ করবে , আল্লাহ তাকে সুস্থ করতে সহায়তা করবেন যিনি এই নামটি ঘন ঘন পাঠ করবে আল্লাহ তাকে সমস্ত দুনিয়াবী বিপদ থেকে নিরাপদ রাখবেন ।
৭. الْمُؤْمِنُ – আল-মু’মিন – জামিনদার, সত্য ঘোষণাকারী
এই নামটি ৬৩১ বার পাঠ করলে সে ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে।
৮. الْمُهَيْمِنُ – আল-মুহাইমিন – অভিভাবক, প্রতিপালক
যে গোসল করে দুই রাকাত নামায আদায় করে এবং এই নামটি আন্তরিকভাবে একাগ্রতার সাথে ১০০ বার পাঠ করে, আল্লাহ তার বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অবস্থাও পবিত্র করেন।
৯. الْعَزِيزُ – আল-’আযীয – সর্বশক্তিমান, সবচেয়ে সম্মানিত
যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাযের পরে ৪১ বার এই নামটি পাঠ করে সে অন্যের কাছ থেকে প্রয়োজনের বাইরে স্বাধীন হবে এবং অপমানের পরে সম্মান অর্জন করবে।
১০. الْجَبَّارُ – আল-জাব্বার – দুর্নিবার, সমুচ্চ, মহিমান্বিত
যে এই নামটি বার বার পাঠ করে সে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে বাধ্য হবে না, এবং সহিংসতা, তীব্রতা বা কঠোরতার দ্বারা প্রকাশিত হবে না।
১১. الْمُتَكَبِّرُ – আল-মুতাকাব্বির – সর্বশ্রেষ্ঠ, গৌরবান্বিত
যে ব্যক্তি এই নামটি অধিক পাঠ করে তাকে মর্যাদা ও সম্মান দেওয়া হবে। প্রতিটি কাজ শুরুর সময় যদি তিনি এই নামটি বারবার পুনরাবৃত্তি করেন তবে তিনি আল্লাহর অনুগ্রহে সাফল্য অর্জন করবেন।
১২. الْخَالِقُ – আল-খলিক্ব – সৃষ্টিকর্তা
যদি কোন ব্যক্তি টানা ৭ দিন ধরে দৈনিক ১০০ বার এই নামটি পাঠ করে আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে সৎ পথে পরিচালিত করার জন্য একজন ফেরেশতা নিয়োগ করে দেন।
১৩. الْبَارِئُ – আল-বারি’ – বিবর্ধনকারী, নির্মাণকর্তা, পরিকল্পনাকারী
এই নামটি কেবলমাত্র ইঙ্গিত দেয় যে আল্লাহ সব কিছু অনুপাতে তৈরি করেছেন।
১৪. الْمُصَوِّرُ – আল-মুসউয়ির – আকৃতিদানকারী
২১ বার এই নামটি পাঠ করুন এবং পানিতে ফুঁক দিয়ে একটানা ৭ দিন এটি চালিয়ে যান। রোজা ভাঙার জন্য পানিটি ব্যবহার করুন। ইনশাআল্লাহ, মহিলারা শীঘ্রই একটি সন্তানের দ্বারা আশীর্বাদ পাবেন।
১৫. الْغَفَّارُ – আল-গফ্ফার – পুনঃপুনঃ মার্জনাকারী
যে এই নামটি বারবার করে পাঠ করবে আল্লাহ তার পাপ ক্ষমা করে দিবেন।
১৬. الْقَهَّارُ – আল-ক্বহ্হার – দমনকারী
যে ব্যক্তি এই নামটি অধিক পাঠ করবে আল্লাহ তার মনের ইচ্ছা পূরণ করবেন। তার হৃদয়কে পৃথিবীর আকর্ষণ দূরে রাখা হবে এবং অন্তরে শান্তি লাভ করবে। এই নামটি অন্যায় থেকে মুক্তিও দেয়।
১৭. الْوَهَّابُ – আল-ওয়াহ্হাব – স্থাপনকারী
এটি ঘন ঘন পাঠ করলে দারিদ্র্য দূর হবে। চশতের নামাজের শেষ সেজদায় এটি ৪০ বার পাঠ করা ব্যক্তিকে অনাহার থেকে মুক্তি দেয়।
১৮. الرَّزَّاقُ – আর-রযযাক্ব – প্রদানকারী
যে ব্যক্তি এই নামটি বারবার পাঠ করবে তাকে আল্লাহ তায়ালা রিযিক দান করবেন।
১৯. الْفَتَّاحُ – আল-ফাত্তাহ – প্রারম্ভকারী, বিজয়দানকারী
যে এই নামটির বারবার পাঠ করবে তার হৃদয় উদার হবে এবং তাকে বিজয় দেওয়া হবে।
২০. الْعَلِيمُ – আল-’আলীম – সর্বজ্ঞানী, সর্বদর্শী
যে ব্যক্তি এই নামটি অধিক পাঠ করবে স্বর্গের আলো দ্বারা তার হৃদয় আলোকিত হবে।
২১. الْقَابِضُ – আল-ক্ববিদ – নিয়ন্ত্রণকারী, সরলপথ প্রদর্শনকারী
যে এই নামটি ৪ টি টুকরো খাবার (ফল, রুটি ইত্যাদি) এ পাঠ করে এবং 40 দিন ধরে খায় সে ক্ষুধা থেকে মুক্ত থাকবে।
২২. الْبَاسِطُ – আল-বাসিত – প্রসারণকারী
যে ব্যক্তি চশতের নামাযের পরে দুই হাত উঁচু করে ১০ বার এই নামটি পাঠ করে, তারপরে হাত দিয়ে মুখটি ঘষে, সে অভাব থেকে মুক্ত হবে।
২৩. الْخَافِضُ – আল-খফিদ্ব – (অবিশ্বাসীদের) অপমানকারী
যারা তিন দিন রোযা রেখে এবং চতুর্থ দিনে একত্রিত হয়ে এই নামটি ৭০ বার বার করে পাঠ করবে , আল্লাহ তাদের শত্রু দ্বারা ক্ষতি থেকে মুক্তি দেবেন। যে ব্যক্তি এই নামটি প্রতিদিন ৫০০ বার করে পাঠ করবে তার প্রয়োজনীয়তা আল্লাহ পূর্ণ করবেন।
২৪. الرَّافِعُ – আর-রফীই’ – উন্নীতকারী
যে এই নামটি দিনরাত ১০১ বার পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে সম্মান, ঐশর্য এবং যোগ্যতার দিক থেকে উচ্চতর করে তুলবেন।
২৫. الْمُعِزُّ – আল-মুই’জ্ব – সম্মানপ্রদানকারী
যে ব্যক্তি সোমবার বা শুক্রবার রাতে মাগরিবের নামাজের পরে ১৪০ বার এই নামটি পাঠ করবে , আল্লাহ তাকে অন্যের চোখে সম্মানিত করবেন । সে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় করবে না।
২৬. الْمُذِلُّ – আল-মুদ্বি’ল্লু – (অবিশ্বাসীদের) বেইজ্জতকারী
যে এই নামটি ৭৫ বার পাঠ করবে তার পক্ষে যারা ঈর্ষা করে এবং ক্ষতি করতে চায় তাদের দ্বারা সে ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকবে। আল্লাহ তাকে রক্ষা করবেন।
২৭. السَّمِيعُ – আস-সামী’ – সর্বশ্রোতা
যে ব্যক্তি এই নামটি ৫০০, ১০০ বা ৫০ বার বৃহস্পতিবার চশতের নামাজের পরে কারও সাথে কথা না বলে পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে যা চান তা দান করবেন।
২৮. الْبَصِيرُ – আল-বাছীর – সর্বদ্রষ্টা, সর্ববিষয়-দর্শনকারী
যে ব্যক্তি শুক্রবার বিকেলে নামাজের পরে এই নামগুলি ১০০ বার পুনরাবৃত্তি করে আল্লাহ তাআলা এই ব্যক্তিকে তার দৃষ্টিতে আলোকিত করবেন এবং তাঁর হৃদয় আলোকিত করবেন।
২৯. الْحَكَمُ – আল-হা’কাম – বিচারপতি, অটল বিচারক
যে রাতে এই নামটি বহুবার পাঠ করবে, তার কাছে অনেক রহস্য প্রকাশিত হবে ।
৩০. الْعَدْلُ – আল-আ’দল – নিখুঁত, পরিপূর্ণ-ন্যায়বিচারক
শুক্রবার রাতে বা দিনে আপনি যদি এই নামটি কোনও রুটির টুকরোতে লিখে খেয়ে থাকেন তবে লোকে আপনার কথা মানবে।
৩১. اللَّطِيفُ – আল-লাতীফ – অমায়িক, সকল-গোপন-বিষয়ে-অবগত, অপ্রকাশ্য বিষয় ও সূক্ষ্ম বিষয়াবলী সম্পর্কে অবগত
যে প্রতিদিন এই নামটি ১৩৩ বার পাঠ করবে আল্লাহ তার তার উপার্জন বৃদ্ধি করে দিবেন।
৩২. الْخَبِيرُ – আল-খবীর – সম্যক অবগত, সকল ব্যাপারে জ্ঞাত
যদি কোনও ব্যক্তি স্বার্থপর বাসনা এবং খারাপ অভ্যাসের শিকার হন তবে তিনি নিয়মিত এই নামটি পাঠ করলে তিনি সেগুলি থেকে মুক্তি পাবেন।
৩৩. الْحَلِيمُ – আল-হ়ালীম- ধৈর্যবান, প্রশ্রয়দাতা
যিনি এই নামটি কাগজের টুকরোতে লিখে, এটি জল দিয়ে ধুয়ে ফেলেন এবং যে কোনও কিছুতে সেই জলটি ছিটিয়ে দেয় তিনি ক্ষতি এবং বিপর্যয় থেকে নিরাপদ হয়ে যাবেন ।
৩৪. الْعَظِيمُ – আল-’আযীম – সুমহান
৩৫. الْغَفُورُ – আল-গ’ফূর – মার্জনাকারী
৩৬. الشَّكُورُ – আশ-শাকূর – সুবিবেচক
৩৭. الْعَلِيُّ – আল-’আলিই – মহীয়ান
৩৮. الْكَبِيرُ – আল-কাবীর – সুমহান
৩৯. الْحَفِيظُ – আল-হা’ফীজ – সংরক্ষণকারী
৪০. الْمُقِيتُ – আল-মুক্বীত – লালনপালনকারী
৪১. الْحَسِيبُ – আল-হাসীব – হিসাব-গ্রহণকারী
৪২. الْجَلِيلُ – আল-জালীল – গৌরবান্বিত
৪৩. الْكَرِيمُ – আল-কারীম – উদার, অকৃপণ, সুমহান দাতা
৪৪. الرَّقِيبُ – আর-রক্বীব – সদা জাগ্রত,অতন্দ্র পর্যবেক্ষণকারী, তত্ত্বাবধায়ক
৪৫. الْمُجِيبُ – আল-মুজীব – সাড়া দানকারী, উত্তরদাতা, জবাব-দানকারী, কবুলকারী
৪৬. الْوَاسِعُ – আল-ওয়াসি’- অসীম, সর্বত্র বিরাজমান
৪৭. الْحَكِيمُ – আল-হাকীম – সুবিজ্ঞ, সুদক্ষ
৪৮. الْوَدُودُ – আল-ওয়াদূদ – স্নেহশীল
৪৯. الْمَجِيدُ – আল-মাজীদ – মহিমান্বিত
৫০. الْبَاعِثُ – আল-বা‘ইস – পুনরুত্থানকারী
৫১. الشَّهِيدُ – আশ-শাহীদ – সাক্ষ্যদানকারী
৫২. الْحَقُّ – আল-হাক্ক্ব – প্রকৃত সত্য,
৫৩. الْوَكِيلُ – আল-ওয়াকীল – সহায় প্রদানকারী,আস্থাভাজন, উকিল
৫৪. الْقَوِيُّ – আল-ক্বউই – ক্ষমতাশালী
৫৫. الْمَتِينُ – আল মাতীন – সুদৃঢ়, সুস্থির
৫৬. الْوَلِيُّ – আল-ওয়ালিই – বন্ধু, সাহায্যকারী, শুভাকাঙ্ক্ষী
৫৭. الْحَمِيدُ – আল-হা’মীদ – সকল প্রশংসার দাবীদার, প্রশংসনীয়
৫৮. الْمُحْصِي – আল-মুহছী – বর্ণনাকারী, গণনাকারী
৫৯. الْمُبْدِئُ – আল-মুব্দি’ – অগ্রণী, প্রথম প্রবর্তক, সৃজনকর্তা
৬০. الْمُعِيدُ – আল-মু’ঈদ – পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী, পুনরূদ্ধারকারি
৬১. الْمُحْيِي – আল-মুহ’য়ী – জীবনদানকারী
৬২. الْمُمِيتُ – আল-মুমীত – ধ্বংসকারী, মৃত্যু আনয়নকারী
৬৩. الْحَيُّ – আল-হাইয়্যু – চিরঞ্জীব, যার কোন শেষ নাই
৬৪. الْقَيُّومُ – আল-ক্বইয়ূম – অভিভাবক, জীবিকানির্বাহ প্রদানকারী
৬৫. الْوَاجِدُ – আল-ওয়াজিদ – পর্যবেক্ষক, আবিষ্কর্তা, চিরস্থায়ী
৬৬. الْمَاجِدُ – আল-মাজিদ – সুপ্রসিদ্ধ
৬৭. الْوَاحِدُ – আল-ওয়াহি’দ – এক, অনন্য, অদ্বিতীয়
৬৮. الصَّمَدُ – আস-সমাদ – চিরন্তন, অবিনশ্বর, নির্বিকল্প, সুনিপুণ, স্বয়ং সম্পূর্ণ
৬৯. الْقَادِرُ – আল-ক্বদির – সর্বশক্তিমান
৭০. الْمُقْتَدِرُ – আল-মুক্বতাদির – প্রভাবশালী, সিদ্ধান্তগ্রহণকারী
৭১. الْمُقَدِّمُ – আল-মুক্বদ্দিম – অগ্রগতিতে সহায়তা প্রদানকারী
৭২. الْمُؤَخِّرُ – আল-মুয়াক্খির – বিলম্বকারী, অবকাশ দানকারী
৭৩. الْأَوَّلُ – আল-আউয়াল – সর্বপ্রথম, যার কোন শুরু নাই
৭৪ الْآخِرُ – আল-আখির – সর্বশেষ, যার কোন শেষ নাই
৭৫. الظَّاهِرُ – আজ-জ’হির – সুস্পষ্ট, সুপ্রতীয়মান, বাহ্য (যা কিছু দেখা যায়)
৭৬. الْبَاطِنُ – আল-বাত্বিন – লুক্কায়িত, অস্পষ্ট, অন্তরস্থ (যা কিছু দেখা যায় না)
৭৭. الْوَالِيَ – আল-ওয়ালি – সুরক্ষাকারী বন্ধু, অনুগ্রহকারী, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রভু
৭৮. الْمُتَعَالِي – আল-মুতা’আলী – সর্বোচ্চ মহিমান্বিত, সুউচ্চ
৭৯. الْبَرُّ – আল-বার্র – কল্যাণকারী
৮০. التَّوَّابُ – আত-তাওয়াব – বিনম্র, সর্বদা আবর্তিতমান
৮১. الْمُنْتَقِمُ – আল-মুন্তাক্বিম – প্রতিফল প্রদানকারী
৮২. الْعَفُوُّ – আল-’আফুউ – শাস্তি মউকুফকারী, গুনাহ ক্ষমাকারী
৮৩. الرَّءُوفُ – আর-র’ওফ – সদয়, সমবেদনা প্রকাশকারী
৮৪. مَالِكُ الْمُلْكِ – মালিকুল মুলক্ – সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী
৮৫. ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ – জুল জালালি ওয়াল ইকরম – মর্যাদা ও ঔদার্যের প্রভু
৮৬. الْمُقْسِطُ – আল-মুক্বসিত – ন্যায়পরায়ণ, প্রতিদানকারী
৮৭. الْجَامِعُ – আল-জামি’ – একত্র আনয়নকারী, ঐক্য সাধনকারী
৮৮. الْغَنِيُّ – আল-গ’নিই – ঐশ্বর্যবান, স্বতন্ত্র
৮৯. الْمُغْنِي – আল-মুগ’নি – সমৃদ্ধকারী, উদ্ধারকারী
৯০. الْمَانِعُ – আল-মানি’ – প্রতিরোধকারী, রক্ষাকর্তা
৯১ الضَّارُّ – আদ্দর – যন্ত্রণাদানকারী, উৎপীড়নকারী
৯২. النَّافِعُ – আন-নাফি’ – অনুগ্রাহক, উপকর্তা, হিতকারী
৯৩. النُّورُ – আন-নূর – আলোক
৯৪. الْهَادِي – আল-হাদী – পথপ্রদর্শক
৯৫. الْبَدِيعُ – আল-বাদী’- অতুলনীয়, অনিধগম্য
৯৬. الْبَاقِي – আল-বাকী – অপরিবর্তনীয়, অনন্ত, অসীম, অক্ষয়
৯৭. الْوَارِثُ – আল-ওয়ারিস’ – সবকিছুর উত্তরাধিকারী
৯৮. الرَّشِيدُ – আর-রশীদ – সঠিক পথের নির্দেশক
৯৯. الصَّبُورُ – আস-সবূর – ধৈর্যশীল
আবু হুরাইরাহ্ রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ্ তা’আলার রয়েছে নিরানব্বইটি নাম, একশো থেকে একটি কম, যে এই নামগুলি মনে রাখবে, বুঝবে এবং উপলব্ধি করবে, সে জান্নাত -এ যাবে।” [বুখারি ৩.৫০:৮৯৪, মুসলিম ৩৫:৬৪৭৬, আত-তিরমিযী ৫১.৮৭:৫১৩৮]
সূরা বনী ইসরাঈল:110 – বলুনঃ আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই।
সূরা আল আ’রাফ:180 – আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক।
সূরা আল হাশর:24 – তিনিই আল্লাহ তা’আলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নাম সমূহ তাঁরই। নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।
সূরা ত্বোয়া-হা:8 – আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য ইলাহ নেই। সব সৌন্দর্যমন্ডিত নাম তাঁরই।
উত্তর: আল্লাহর নাম নিরানব্বই সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং তাঁর নামের প্রকৃত সংখ্যা তিনি ছাড়া কেউ জানে না।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিম্নোক্ত দুয়াটি: أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ ، أَوْ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ “আমি আপনার সেই সকল নাম ধরে প্রার্থনা করছি, যে নামগুলো আপনি নিজেই নিজের জন্য নির্ধারণ করেছেন। অথবা সৃষ্ট জগতের কাউকে শিক্ষা দিয়েছেন, অথবা আপনার কিতাবে নাজিল করেছেন অথবা আপনার নিজের কাছেই ইলমে গায়ব (অদৃশ্য জ্ঞান)এ সংরক্ষিত রেখে দিয়েছেন।” (মুসনাদ আহমদ, হা/৩৭০৪, সিলসিলা সহীহাহ, আলবানী)
ইবনে তাইমিয়া রাহ. বলেন, “এতে প্রমাণিত হয়, আল্লাহ তায়ালার নাম নিরানব্বিইটির অধিক।” (মাজমু ফাতাওয়া ৬ খণ্ড ৩৭৪ পৃষ্ঠা) আর যে হাদীসে নিরানব্বইটি নামের কথা বলা হয়েছে সেটির ব্যাখ্যায় ইমাম নওবী রহ. বলেন, اتَّفَقَ الْعُلَمَاء عَلَى أَنَّ هَذَا الْحَدِيث لَيْسَ فِيهِ حَصْر لأَسْمَائِهِ سُبْحَانه وَتَعَالَى , فَلَيْسَ مَعْنَاهُ : أَنَّهُ لَيْسَ لَهُ أَسْمَاء غَيْر هَذِهِ التِّسْعَة وَالتِّسْعِينَ , وَإِنَّمَا مَقْصُود الْحَدِيث أَنَّ هَذِهِ التِّسْعَة وَالتِّسْعِينَ مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّة , فَالْمُرَاد الإِخْبَار عَنْ دُخُول الْجَنَّة بِإِحْصَائِهَا لا الإِخْبَار بِحَصْرِ الأَسْمَاء اهـ “আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, উক্ত হাদীসে এ কথা নেই যে, আল্লাহর নাম নিরানব্বইটির মধ্যে সীমাবদ্ধ। হাদীসের এ অর্থ নয় যে, এই নিরানব্বইটি ছাড়া আল্লাহর আর কোন নাম নেই। বরং এ কথার উদ্দেশ্য হল, যে ব্যক্তি এই নিরানব্বইটি নাম সংরক্ষণ করবে (তথা মুখস্ত করার পাশাপাশি বুঝে আমল করবে) সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অর্থাৎ এখানে এ নামগুলো সংরক্ষণকারীর জন্য জান্নাতে প্রবেশের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। নামের সংখ্যার সীমাবদ্ধতার কথা বলা হয় নি।” (শরহে সহীহ মুসলিম) —————————— গ্রন্থনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
কুরআনে বর্ণিত আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নাম :
১. আল্লাহ : “বল, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।” (সূরা আল-ইখলাস : ০১), ২. আর রহমানু : অর্থ -পরম দয়ালু।” (সূরা আর-রহমান : ০১), ৩. আর রাহিমু :অর্থ – (সীমাহীন করুণাময়) “পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।” (সূরা ফাতিহা : ০৩), এ ছাড়া কুরআনুল কারিমের বিভিন্ন সূরায় নিম্নে বর্ণিত গুণবাচক নামগুলো রয়েছে : ৪. মালিকু অর্থ -(সত্তাধিকারী), ৫. আল কুদ্দুসু অর্থ -(মহাপবিত্র), ৬. আস্-সালামু অর্থ -(শান্তিদাতা), ৭. আল-মুমিনু অর্থ -(নিরাপত্তাদাতা), ৮. আল-মুহাইমিনু অর্থ -(রক্ষণাবেক্ষণকারী), ৯. আল-আযিযু অর্থ – (মহাপরাক্রমশালী), ১০. আল-জাব্বারু অর্থ -(মহাপ্রতাপশালী), ১১. আল-মুতাকাব্বিরু অর্থ -(মহাগৌরবের অধিকারী), ১২. আল-খালিকু অর্থ -(সৃষ্টিকর্তা), ১৩. আল-কারিমু অর্থ -(উদ্ভাবনকারী), ১৪. আল-মুসাব্বিরু অর্থ -(আকৃতিদানকারী), ১৫. আল-গাফ্ফারু অর্থ -(অসীম ক্ষমাশীল), ১৬. আল-কাহ্হারু অর্থ -(মহাপরাক্রমশালী), ১৭. আল-ওয়াহ্হাবু অর্থ -(মহান দাতা), ১৮. আল রাজ্জাকু অর্থ -(রিজিকদাতা), ১৯. আল-ফাত্তাহু অর্থ -(মহা বিজয়দানকারী), ২০. আল-আলিমু অর্থ -(মহাজ্ঞানী), ২১. আল-ক্বাবিদু অর্থ -(হরণকারী), ২২. আল-বাসিতু অর্থ -(সম্প্রসারণকারী), ২৩. আল-খাফিদু অর্থ -(অবনতকারী), ২৪. আর রাফিয়ু (উন্নতকারী), ২৫. আল মুয়িযু অর্থ -(মর্যাদাদানকারী), ২৬. আল-মুজিল্লু অর্থ -(অপমানকারী), ২৭. আস-সামিয়ু অর্থ -(সর্বশ্রোতা), ২৮. আল-বাসিরু অর্থ -(সর্বদ্রষ্টা) ২৯. আল-হাব্বিসু অর্থ -(মহাবিচারক), ৩০. আল-আদিলু অর্থ -(ন্যায়পরায়ণ), ৩১. আল-লাতিফু অর্থ -(সূক্ষ্মদর্শী), ৩২. আল-খাবিরু অর্থ -(মহা সংবাদরক্ষক), ৩৩. আল-হালিমু অর্থ -(মহা সহিষ্ণু), ৩৪. আল-আযিমু অর্থ -(মহান), ৩৫. আল-গাফুরু অর্থ -(ক্ষমাশীল), ৩৬. আশ্ শাকুরু অর্থ -(গুণগ্রাহী), ৩৭. আল-আলিয়্যু অর্থ -(মহা উন্নত), ৩৮. আল-কাবিরু অর্থ -(সর্বাপেক্ষা বড়), ৩৯. আল-হাফিযু অর্থ -(মহারক্ষক), ৪০. আল-মুকিতু অর্থ -(মহান শক্তিদাতা), ৪১. আল-হাসিবু অর্থ -(হিসাব গ্রহণকারী), ৪২. আল-জালিলু অর্থ -(মহা মহিমাময়), ৪৩. আল-কারিমু অর্থ -(মহা অনুগ্রহশীল), ৪৪. আর রাকিবু অর্থ -(মহাপর্যবেক্ষণকারী), ৪৫. আল-মুজিবু অর্থ -(মহান কবুলকারী), ৪৬. আল- ওয়াসিয়ু অর্থ -(মহাবিস্তারকারী), ৪৭. আল-হাকিমু অর্থ -(মহাপ্রজ্ঞাময়), ৪৮. আল-ওয়াদুদু অর্থ -(প্রেমময় বন্ধু), ৪৯. আল-মাজিদু অর্থ -(মহাগৌরবান্বিত), ৫০. আল-বাইসু অর্থ -(পুনরুত্থানকারী), ৫১. আশ্শাহীদু অর্থ -(সর্বদর্শী), ৫২. আল-হাক্কু অর্থ -(মহাসত্য), ৫৩. আল-ওয়াকিলু অর্থ -(মহান দায়িত্বশীল বা প্রতিনিধি), ৫৪. আল-ক্বাযিয়্যু অর্থ -(মহাশক্তি ধর), ৫৫. আল-মাতিনু অর্থ -(চূড়ান্ত সুরক্ষিত ক্ষমতার অধিকারী), ৫৬. আল-ওয়ালিয়্যু অর্থ -(মহান অভিভাবক), ৫৭. আল-হামিদু অর্থ -(মহাপ্রশংসিত), ৫৮. আল-মুহ্সিয়্যু অর্থ -(পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব গ্রহণকারী), ৫৯. আল-মুবদিয়ু অর্থ -(সূচনাকারী), ৬০. আল-মুঈদু অর্থ -(পুনঃসৃষ্টিকারী), ৬১. আল-হাইয়্যু অর্থ -(চিরঞ্জীব), ৬২. আল-কাইয়্যুমু অর্থ -(চিরস্থায়ী), ৬৩. আল-মুহ্য়িয়ু অর্থ -(জীবনদানকারী), ৬৪. আল-মুমিতু অর্থ -(মৃত্যুদানকারী), ৬৫. আল-ওয়াজিদু অর্থ -(ইচ্ছাপূরণকারী), ৬৬. আল-মাজিদ অর্থ -(মহাগৌরবান্বিত), ৬৭. আল-ওয়াহিদু অর্থ -(একক সত্তা), ৬৮. আস্ ছামাদু অর্থ -(স্বয়ংসম্পূর্ণ/অমুখাপেক্ষী), ৬৯. আল-ক্বাদিরু অর্থ -(সর্বশক্তিমান), ৭০. আল-মুক্তাদিরু অর্থ -(মহান কুদরতের অধিকারী), ৭১. আল-মুকাদ্দিমু অর্থ -(অগ্রসরকারী), ৭২. আল-মুআখ্খিরু অর্থ -(বিলম্বকারী), ৭৩. আল-আউওয়ালু অর্থ -(অনাদি), ৭৪. আল-আখিরু অর্থ -(অনন্ত), ৭৫. আয যাহিরু অর্থ -(প্রকাশ্য), ৭৬. আল-বাতিনু অর্থ -(লুক্কায়িত), ৭৭. আল-ওয়ালিউ অর্থ -(মহান অধিপতি), ৭৮. আল-মুতাআলিয়ু অর্থ -(চির-উন্নত), ৭৯. আল-বাররু অর্থ -(কল্যাণদাতা), ৮০. আত্ তাউওয়াবু অর্থ -(মহান তওবাকবুলকারী), ৮১. আল-মুন্তাকিমু অর্থ -(প্রতিশোধ গ্রহণকারী), ৮২. আল-আফুউ অর্থ -(ক্ষমাকারী/উদারতা প্রদর্শনকারী), ৮৩. আর-রাউফু অর্থ -(অতিশয় দয়ালু), ৮৪. মালিকুল মুলকি (সর্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী), ৮৫. যুল-যালালি ওয়াল ইকরামি অর্থ -(গৌরব ও মহত্ত্বের অধিকারী), ৮৬. আল-মুকসিতু অর্থ -(ন্যায়পরায়ণ), ৮৭. আল-জামিয়ু অর্থ -(একত্রকারী), ৮৮. আল-গানিয়্যু অর্থ -(ঐশ্বর্যের অধিকারী), ৮৯. আল-মুগনিয়ু অর্থ -(ঐশ্বর্যদানকারী), ৯০. আল-মানিয়ু অর্থ -(প্রতিরোধকারী), ৯১. আদ্-দাররু অর্থ -(অনিষ্টকারী), ৯২. আন-নাফিয়ু অর্থ -(উপকারকারী), ৯৩. আন্ নূরু অর্থ -(জ্যোতি), ৯৪. আল-হাদিয়ু ( হেদায়েতকারী/পথ প্রদর্শনকারী), ৯৫. আল-বাদিয়ু অর্থ -(সূচনাকারী), ৯৬. আল-বাকিয়ু অর্থ -(চিরবিরাজমান), ৯৭. আল-ওয়ারিসু অর্থ -(স্বত্বাধিকারী), ৯৮. আর রাশিদু অর্থ -(সৎপথে পরিচালনাকারী), ৯৯. আস-সাবুরু অর্থ -(মহাধৈর্যশীল)।
'