১. কাশীরাজের ৩জন কন্যা ছিল। ২. অম্বা অবিবাহিত ছিল। ৩. অম্বা পরবর্তী জন্মে দ্রুপদ রাজার কন্যা শিখণ্ডীরূপে জন্মগ্রহণ করে। শিখণ্ডী: শিখণ্ডী কন্যা হয়েই জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তার কন্যা হওয়ার পরিচয় সবার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে শিখণ্ডী রাজা হিরণ্যবর্ম্মার কন্যাকে বিয়ে করেন এবং বিয়ের পরই তার স্ত্রী শিখণ্ডীর নারী হওয়ার কথাটা জানতে পারেন। এভাবে দাস-দাসীদের মধ্যেও ছড়িয়ে যায় কথাটা এবং রাজা হিরণ্যবর্ম্মা একথা জানতে পেরে এ কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এক দূত পাঠান দ্রুপদ রাজ্যে। এদিকে শিখণ্ডী লজ্জিত হয়ে একটি বনে প্রবেশ করে সেখানে এক যক্ষের অনুগ্রহে সে যক্ষের পুরুষত্ব লাভ করে এবং যক্ষ তার নারীত্ব গ্রহন করে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। যক্ষের শর্ত ছিল যে নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম হওয়ার পূর্বেই আবার শিখণ্ডী সেই বনে গেলে তার নারীত্ব ফিরে পেতে পারবে। এদিকে শিখণ্ডী নিজ রাজ্যে এসে নিজের পুরুষ হওয়ার প্রমাণ দেন। কিন্তু শিখণ্ডী যক্ষের দেওয়া সেই শর্ত পূরণ করতে পারেননি তাই পরবর্তীতে তিনি পুরুষই থেকে যান এবং স্ত্রী, সন্তান নিয়ে সংসার করেন এবং পুরুষরূপেই তিনি ভীষ্মকে বধ করেন। এভাবে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি পুরুষ ছিলেন