সঠিক উত্তর হচ্ছে: নঞর্থক
ব্যাখ্যা: “অচিন\' শব্দের \'অ\' উপসর্গটি নঞর্থক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।\n“উপসর্গ কথাটির মুল অর্থ \'উপসৃষ্ট\'। এর কাজ হলো নতুন শব্দ গঠন করা। উপসর্গের নিজস্ব কোন অর্থ নেই, তবে এগুলো অন্য\nশব্দের সাথে যুক্ত হয়ে বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে থাকে। মনে রাখতে হবে, উপসর্গ সব সময় মূল শব্দ বা ধাতুর পূর্বে যুক্ত হয়।\n\n“তাপ\' (বিশেষ্য পদ) তৎসম পদ। \'তাপ\' অর্থ উষ্ণতা বা উত্তাপ। এর পূর্বে \'প্র\' বা \'অনু\' যুক্ত হয়ে যথাক্রমে প্রতাপ প্র+তাপ) যার অর্থ\nপরাক্রান্ত বা বীরত্ব। অনুতাপ (অনু+ তাপ) যার অর্থ অনুশোচনা বা আফসোস ইত্যাদি নতুন শব্দ গঠিত হয়েছে এবং \'তাপ\' শব্দের\nঅর্থের পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আবার \'প্র\' বা \'অনু\' এর নিজ কোন অর্থ নেই বা এগুলো স্বাধীনভাবে কোন বাক্যেও ব্যবহৃত হতে\nপারে না। তাই ভাষাবিদগণ এরূপ অব্যয়সূচক শব্দ বা শব্দাংশের নাম দিয়েছেন \'উপসর্গ\'। যেমন- হার একটি শব্দ। এর সাথে উপ,\nআ. প্র, বি উপসর্গ যুক্ত হয়ে যথাক্রমে উপহার, আহার, প্রহার, বিহার শব্দ গঠিত হয়েছে। এভাবে উপসর্গের সাহায্যে নতুন নতুন শব্দ\nগঠন করে বাংলা ভাষার শব্দ সম্তার সমৃদ্ধি লাভ করেছে। অতএব, কতকগুলো অব্যয় নামবাচক বা কৃদান্ত শব্দের পূর্বে যুক্ত\nহয়ে নতুন শব্দ গঠন করে এবং অর্থের পরির্বতন সাধন করে, এগুলোকে উপসর্গ বলে।\n