সঠিক উত্তর হচ্ছে: ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি
ব্যাখ্যা: যে সমাস পূর্বপদ বা পরপদ কোনােটির অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কিছু বােঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমন - বউ ভাত পরিবেশন করে যে অনুষ্ঠানে = বউভাত, লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ = লাঠালাঠি ইত্যাদি।
ক. পূর্বপদ বিশেষণ এবং পরপদ বিশেষ্য হলে তাকে সমানাধিকার বহুব্রীহি বলে।
যেমন – এক গোঁ যার = একগুঁয়ে, লাল পাড় যে শাড়ির = লালপেড়ে।
খ. পূর্বপদ ও পরপদ উভয়ই বিশেষ্য (কখনাে কখনাে ক্রিয়াবিশেষ্য) হলে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি হয়।
যেমন - গোঁফে খেজুর যার = গোঁফখেজুরে।
গ. যে বহুব্রীহি সমাসের ব্যাসবাক্য থেকে এক বা একাধিক পদ লােপ পায়, তাকে পদলােপী বহুব্রীহি বলে।
যেমন – চিরুনির মতাে দাঁত যার = চিরুনদাঁতি, হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = হাতেখড়ি।
ঘ. পারস্পরিক ক্রিয়ায় কোনাে অবস্থা তৈরি হলে ব্যতিহার বহুব্রীহি হয়।
যেমন : হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি, কানে কানে যে কথা = কানাকানি।
ঙ. যে বহুব্রীহি সমাসে সমস্যমান পদের পূর্বপদের বিভক্তি অক্ষুণ্ন থাকে, তাকে অলুক বহুব্রীহি বলে।
যেমন - গায়ে এসে পড়ে যে = গায়েপড়া, কানে খাটো যে = কানেখাটো।
চ. যে বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ সংখ্যাবাচক, তাকে সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমন – চার ভুজ যে ক্ষেত্রের = চতুর্ভুজ, সে (তিন) তার যে যন্ত্রের = সেতার।
সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি, ২০২১ সংস্করণ।