সঠিক উত্তর হচ্ছে: সোমপুর বিহার
ব্যাখ্যা: ধর্মপাল : ধর্মপাল ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। পাল রাজাদের মধ্যে তিনিই সর্বোচ্চ সার্বভৌম উপাধি পরমেশ্বর, পরমভট্টারক মহারাজাধিরাজ উপাধি ধারণ করেছিলেন। ভাগলপুরের ২৪ মাইল পূর্বে তিনি একটি বৌদ্ধ বিহার বা মঠ নির্মাণ করেন। বিক্রমশীল তাঁর দ্বিতীয় নাম বা উপাধি অনুসারে এটি ‘বিক্রমশীল বিহার’ নামে খ্যাত ছিল। নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর নামক স্থানেও ধর্মপাল এক বিশাল বিহার প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ‘সোমপুর বিহার’ নামে পরিচিত। এই স্থাপত্য জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্বসভ্যতার নিদর্শন হিসেবে (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ) স্বীকৃত হয়েছে। তারানাথের মতে, ধর্মপাল বৌদ্ধধর্ম শিক্ষার জন্য ৫০টি শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। \r\n\r\n→ ধর্মপালের প্রধানমন্ত্রী নাম ছিল- গর্গ। গর্গ ছিলেন একজন ব্রাহ্মণ। তাঁর বংশধরগণ অনেকদিন ধরে পাল রাজাদের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। \r\n→ ধর্মপালের পুত্রের নাম- দেব পাল (৮২১-৮৬১)। তার সময়ে পাল সাম্রাজ্য সবচেয়ে বেশি বিস্তার লাভ করেছে। \r\n→ দেবপালের পৃষ্ঠপোষকতায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় সমগ্র এশিয়ায় বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রধান প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। জাভা, সুমাত্রা ও মালয়ের শৈলেন্দ্র বংশের মহারাজ বালপুত্রদেবকে নালন্দায় একটি মঠ প্রতিষ্ঠার অনুমতি দান করেছিলেন। এ ঘটনা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপপুঞ্জের সাথে বাংলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়। \r\n \r\nদেবপালের মৃত্যুর পর দুর্বলচেতা শাসক পাল বংশের সিংহাসনে বসে, ফলে ক্রমে পাল সাম্রাজ্য পতনমুখী হয়। এ ধারা অব্যাহত থাকে দেবপালের পুত্র প্রথম বিগ্রহপাল থেকে দ্বিতীয় বিগ্রহপাল পর্যন্ত।