সঠিক উত্তর হচ্ছে: তিনজনই
ব্যাখ্যা: বৈষ্ণব সাহিত্য: বৈষ্ণব মতকে কেন্দ্র করে রচিত বৈষ্ণব সাহিত্য। পঞ্চাদশ শতকে শ্রী চৈতন্য দেবের ভাব বিপ্লবকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলা সাহিত্যে বৈষ্ণব সাহিত্যের জন্ম হয়। বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক শ্রী চৈতন্য দেব কোন পুস্তক লিখে যাননি অথচ তাকে ঘিরেই জন্ম হয় এই সাহিত্যের। বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যর সূচনা ঘটে চতুর্দশ শতকে বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাস-এর সময়ে তবে ষোড়শ শতকে এই সাহিত্যের বিকাশ হয়। বৈষ্ণব পদাবলির প্রধান অবলম্বন রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা।\n\nবিদ্যাপতি ও চন্ডীদাস বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের আদি কবি বলে বিবেচ্য। চতুর্দশ শতকের বিদ্যাপতি, চন্ডীদাশ ও ষোড়শ শতকের জ্ঞানদাস ও গোবিন্দ দাস-কে এই সাহিত্যের চতুষ্টয় বলা হয়। বিদ্যাপতি ব্রজবুলী ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলি রচনা করেছেন ও অধিকাংশ পদাবলী এই ভাষায় রচিত হয়েছে। বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যে বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দ দাস, যশোরাজ খান, চাঁদকাজী, রামচন্দ বসু, বলরাম দাস, নরহরি দাস, বৃন্দাবন দাস, বংশীবদন, বাসুদেব, অনন্ত দাস, লোচন দাস, শেখ কবির, সৈয়দ সুলতান, হরহরি সরকার, ফতেহ পরমানন্দ, ঘনশ্যাম দাশ, গয়াস খান, আলাওল, দীন চন্ডীদাস, চন্দ্রশেখর, হরিদাস, শিবরাম, করম আলী, পীর মুহম্মদ, হীরামনি, ভবানন্দ প্রমুখ উল্লেখ্যযোগ্য কবি।