নিচের অপশন গুলা দেখুন
- স্যার মর্টিমার হুইলার
- রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
- স্যার জন মার্শাল
- ননী গোপাল মজুমদার
মহেঞ্জোদারাে সিন্ধু সভ্যতার এক অনন্য নিদর্শন। প্রাচীন ভারতের সিন্ধু সভ্যতার বৃহত্তম নগর-বসতি গুলাের মধ্যে অন্যতম এই মহেঞ্জোদারাে। পাকিস্তানের অন্তর্গত সিন্ধুদেশে লারকানা জেলায় মহেঞ্জোদারোর অবস্থান। ২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত এই শহরটি ছিল বিশ্বের প্রাচীনতম শহরগুলাের অন্যতম এবং প্রাচীন মিসর, মেসােপটেমিয়া সভ্যতার সমসাময়িক। ১৯২২ সালে রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায় নামের এক বাঙালি এই শহর আবিষ্কার করেন। ইউনেস্কো ১৯৮০ সালে এ শহরটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘােষণা করেছে।
আরও পড়তে চাইলে,
হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর অবস্থানঃ
প্রত্নতত্ত্ববিদগণ বুঝতে পেরেছিলেন, সিন্ধু নদের তীরে প্রাচীন সভ্যতার অস্তিত্ব থাকতে পারে। তাই, অনেকদিন থেকেই এই অঞ্চল ঘিরে অনুসন্ধান চলছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ হরপ্পা অঞ্চলে খনন শুরু করেন ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে। হরপ্পার অবস্থান বর্তমান পাকিস্তানের পাঞ্জাবের সাহিওয়াল জেলায়। মহেঞ্জোদারো অঞ্চলে খনন কাজ শুরু হয় ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে। এরপর থেকে ক্রমাগত খনন কাজ চলতে থাকে এবং ধীরে ধীরে বেরোতে থাকে এই সভ্যতার বিস্ময়কর সব নিদর্শন। হরপ্পার চেয়ে ঐতিহাসিক নিদর্শন মহেঞ্জোদারোতে বেশি পাওয়া যায়। এ কারণে ঐতিহাসিকদের অনেকে সিন্ধু সভ্যতাকে মহেঞ্জোদারো সভ্যতা বলেছেন। আবার কারও বর্ণনায় হরপ্পার সংস্কৃতি গুরুত্ব পেয়েছে বেশি। তাঁদের নিকট সিন্ধু সভ্যতা হরপ্পা সংস্কৃতি নামে পরিচিত।
মহোঞ্জোদারো নগরীর আবিষ্কারঃ
মহেঞ্জোদারো সভ্যতা আবিষ্কারে প্রধান কৃতিত্ব একজন বাঙ্গালীর। তিনি ঐতিহাসিক রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়। তিনি মহেঞ্জোদারো সভ্যতা আবিষ্কার করেন ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে। সিন্ধি ভাষায় মহেঞ্জোদারো শব্দের অর্থ হল মৃতের সমাধি বা স্তূপ।
এরও দুই বছর আগে হরপ্পায় অনুরূপ সংস্কৃতি আবিষ্কৃত হয়। আবিষ্কার করেন ঐতিহাসিক দয়ারাম সাহনি।
এ সময় স্যার জন মার্শাল ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মহাপরিচালক ছিলেন। তাঁর চেষ্টায় এই দুই অঞ্চলে ব্যাপক খননকার্য শুরু হয়। সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কারে তিনজন প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষ ভুমিকা রেখেছিলেন। তাঁরা হচ্ছেন কাশীনাথ দীক্ষিত, ননী গোপাল মজুমদার এবং স্যার মর্টিমার হুইলার।
উৎসঃ একাডেমিক বই এবং অন্যান্য।