সঠিক উত্তর হচ্ছে: চর্যাপদ
ব্যাখ্যা: চর্যাপদের শব্দগুলো অপরিচিত, শব্ ব্যবহারের রীতি বর্তমানে রীতি থেকে ভিন্ন- তাই এর কবিতাগুলো পড়ে বুঝতে কষ্ট হয়। চর্যাপদের ভাষাকে ‘সন্ধ্যা ভাষা বা সান্ধ্য ভাষা\' বলা হয়। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর স্বাঙলা ভাষার উৎপত্তি বিকাশ\' (The Origin and Development of the Bengali Language) নামক গ্রন্থে ধ্বনিতত্ত্ব ব্যাকরণ ও ছন্দ বিচার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, পদসংকলনটি আদি বাংলা ভাষায় রচিত। আধুনিক ছন্দের বিচারে চর্যাপদের ছন্দকে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ বলা যায়। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত \'চর্যাপদ\' বিষয়ক গ্রন্থের নাম \'Buddhist Mystic Songs\' তাঁর মতে চর্যাপদের ভাষা বঙ্গ কামরূপী\n\n[তথ্যসূত্রঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, সৌমিত্র শেখর]