সঠিক উত্তর হচ্ছে: জারী
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশে ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এই তিন ধারার লোকনৃত্যের প্রচলন আছে। এর মধ্যে ধর্মীয় নৃত্যের সংখ্যাই বেশি। এর কারণ এ নৃত্যের উদ্ভব হয়েছে প্রাচীন ও মধ্যযুগে, যখন লোকসমাজে ধর্মীয় প্রভাব ছিল বহুবিস্তৃত। কীর্তননাচ, ব্রতনাচ, বাউলনাচ, গম্ভীরানাচ, জারিনাচ, ফকিরনাচ ইত্যাদির উৎসে বিভিন্ন ধর্মবোধ ও আচার-সংস্কার জড়িত আছে। ঢালিনাচ ও লাঠিনাচে সামাজিক উপযোগ এবং ছোকরানাচ, ঘাটুনাচ ও খেমটানাচে সাংস্কৃতিক বিনোদনের প্রেরণা আছে। কোনো কোনো নাচে হিন্দু ও ইসলাম এ দুটি ধর্মের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। সেগুলিতে প্রধানত এই দুই ধর্মের লোকেরাই অংশগ্রহণ করে এবং তারাই উপভোগ করে। আবার কতক নৃত্য সমাজের সব শ্রেণির মানুষই উপভোগ করে। যেমন কীর্তননাচে হিন্দু এবং জারিনাচে মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকেরাই প্রধানত অংশগ্রহণ করে। কিন্তু লাঠিনাচ ও ঢালিনাচে কোনো সাম্প্রদায়িক ভেদ নেই। আবার ছোকরানাচ, ঘাটুনাচ ও লেটোনাচের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মুসলমান সমাজ হলেও রসোপভোগ ও চিত্তবিনোদনের জন্য এর দ্বার সকলের জন্য উন্মুক্ত। বাংলাদেশে অধুনা প্রচলিত কয়েকটি জনপ্রিয় নাচের বিবরণ নিম্নে দেওয়া হলো:\n\nঅবতার নাচ ফরিদপুর অঞ্চলে প্রচলিত। চড়ক ও গম্ভীরা উৎসবে মন্ত্রপূত মুখোশ পরে এ নৃত্য পরিবেশন করা হয়। এটি বৈচিত্র্যময় ভাবভঙ্গিসমৃদ্ধ একটি নৃত্য। সাঙ্কেতিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে হিন্দুধর্মের দশ অবতারের রূপ প্রকটিত করাই এ নৃত্যের উদ্দেশ্য।