সঠিক উত্তর হচ্ছে: উপমিত কর্মধারয়
ব্যাখ্যা: - উপমান কর্মধারয় সমাস :\nউপমান ও উপমিত কর্মধারয় সমাস আলাদা করে চেনার আগে কতোগুলো সংজ্ঞা/ টার্মস জানা জরুরি। সেগুলো হলো- উপমান, উপমেয় ও সাধারণ ধর্ম।\n\nকোন ব্যক্তি বা বস্তুকে অন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তুর সঙ্গে তুলনা করা হলে যাকে তুলনা করা হলো, তাকে বলা হয় উপমেয়।\nআর যার সঙ্গে তুলনা করা হয় তাকে বলে উপমান।\nআর উপমেয় আর উপমানের যে গুণটি নিয়ে তাদের তুলনা করা হয়, সেই গুণটিকে বলা হয় সাধারণ ধর্ম ।\nযেমন, ‘অরুণের ন্যায় রাঙা প্রভাত’।\nএখানে ‘প্রভাত’কে ‘অরুণ’র মতো ‘রাঙা’ বলে তুলনা করা হয়েছে। সুতরাং, এখানে ‘প্রভাত’ উপমেয়। উপমান হলো ‘অরুণ’। আর প্রভাত আর অরুণের সাধারণ ধর্ম হলো ‘রাঙা’।\nউপমানের ( যার সাথে তুলনা করা হয় ) সঙ্গে সাধারণ ধর্মবাচক পদের সমাসকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে |\n\nউপমান + সাদৃশ্য বাচক শব্দ + সাধারণ ধর্মবাচক পদ = উপমান কর্মধারয় সমাস\nযেমন:--\nশঙ্খের ন্যায় শুভ্র = শঙ্খশুভ্র\nবজ্রের মতো কঠিন = বজ্রকঠিন\nআলতার মতো রাঙা = আলতারাঙা\n\n\n- উপমিত কর্মধারয় সমাস :\nউপমেয় ( যাকে তুলনা করা হয় ) -র সাথে উপমান এর যে সমাস হয় , তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে |\n\nউপমেয় + উপমান + সাদৃশ্য বাচক শব্দ = উপমিত কর্মধারয় সমাস |\nযেমন:--\nনয়ন কমলের ন্যায় = নয়নকমল\nঅধর বিম্বের ন্যায় = বিম্বাধর\nকথা অমৃতের তুল্য = কথামৃত\n