হিন্দু শ্রাস্ত্র বেদ নির্ভর। বেদ হলো ইশ্বর বাক্য। যা অলঙ্ঘনীয়। বেদ ঈশ্বর প্রদত্ত আদেশ নির্দেশনা কি করে জীবন আচরণ করবো তা মুলত স্মৃতি দ্বারা বুঝা য়ায়।।
প্রথমে আসি বেদ কি বলে?
প্র নু বোচং চিকিতুষে জনয়া,মা গামনাগা মদিতিং বধিষ্ট।।(ঋগবেদ ৮/১০১ / ১৫।)
- ঈশ্বর বলছেন, আমি জ্ঞানবান কে বলছি যে তোমারা নিরপরাধ গো জাতিকে হত্যা করো না।।
এখন তথাকথিত বুদ্ধি জীবিরা বলবে এখানে হত্যা করতে নিষেদ করছে। খেতে তো নয়! আরে ভাই যাকে কাটা যাবে না তাকে খাবার তো প্রশ্ন আসে না। বেদের এই বাক্যর পূর্ন ব্যাখ্যা আছে স্মৃতি তে। যা আমাদের আদি পিতা মনু ও বাকী ১৮ জন বেদবিদ মহর্ষি গণ দ্বারা ব্যাখ্যা করা।।
আসুন দেখি কি বলে স্মৃতি-
ব্রক্ষহত্যা সুরাপানং স্তেয়ং গুর্ববঙ্গনাগমঃ।
মহান্তি পাতকান্যাহুঃ সংসর্গশ্চাপি তৈঃ সহ।।
মনু। ব্রাম্মহত্যা (মানুষ ও গো হত্যা),মদ পান,চৌর্য, কন্যা,মাতৃ স্থানীয় নারী সংঙ্গম এই চারটি মহাপাতক। যারা এই কর্ম করে তাদের সাথে বাস করা শয়ন উপবেশন করলে সেও মহা পাপী।। তাই বলা যায় গো হত্যা নিষেধ।।
এবার আসি গোমাংসভোজী হলে কি করতে হয়?
গোমাংস ভক্ষনে প্রাজাপত্যং চরেদিতি।।
সমন্ত স্মৃতি।। অনিচ্ছা পূর্বক গো মাংস একবার ভক্ষনে প্রজাপত্য ব্রত করিবে।
গো অশ্ব বারহ কুন্জারোষ্টী চ সর্বং পন্চনখ তথা।।
ক্রব্যাদং কুক্কুটং গ্রাম্য কুর্যাৎ সংবৎসর ব্রতমিতি।।
শঙ্খ সংহিতা।। গরু, অশ্ব, শুকর, হাতি গ্রাম্য কুক্কুটাদি মাংস ভোজন করলে সম্বৎসর ব্রত করিবে।। সুতরাং এখানে স্পষ্ট বুঝা যায় কোন কোন মাংস আমাদের খাওয়া যাবে না।।
যেহেতু বেদ ও স্মৃতি দুই গো হত্যা ও খাওয়া নিষেদ তাই আমরা হিন্দুরা গো মাংস খাই না।। আর কেউ যদি গো ঘাতক হয় তার শাস্তি কি?
যদি নো গাং হংসি যদ্যশ্বং যদি পুরুষম।।
তং ত্বা সীসেন বিধ্যামো যথা নোহসো অবীরহা।।(অর্থববেদ ১/ ১৬/ ৪)
আর তুমি যদি আমাদের গরু অশ্ব ও প্রজাদিগকে হিংসা করো বা হত্যা করো তবে তোমাকে সীসা দ্বারা বিদ্ধ করিব। আমাদের সমাজের মধ্যে যেন বীরদের বিনাশকারী কেহই না থাকে।। এখানে বলা হচ্ছে যদি কেউ গো ও মানব হত্যা করে ইচ্ছা করে তাকে সীসা বিদ্ধ করতে।।
এবার আসি আমরা গো মাংস খাইনা তবে কেন গো চামড়ার জুতা পরি?
আসলে বেদ ও বৈদিক সমাজ বা সমগ্র আর্যার্বত বা সিন্ধু সভত্্যা গো চামড়ার জুতা পরা হতো না।। ঐ সময় হতে এখন পর্যন্ত হিন্দু সমাজের লোকজন খরম বা চটি পরতো।। কাঠের তৈরী জুতা কে খরম ও ভেড়ার বা মোষের চামড়ার তৈরী জুতা কে চটি বলে।। কিন্তু দূর্ভাগ্য বশত এখন আধুনিকতা নামে প্রাচ্য সভ্যতার ক্রমবিকাশে এখন গো চামড়ার জুতা অনেক হিন্দু পরে।।। কারন এখন এটা না পরে যবন সভত্যার সাথে সখ্যতা থাকেনা।। তাই অনেকে তা পরে। তবে আজ আর্যার্তের ধর্ম গুরু গণ বা সন্নাসী গণ খরম ব্যাবহার করে।
চমড়ার জুতা নয়।