সঠিক উত্তর হচ্ছে: সমস্যমান পদ
ব্যাখ্যা: ? সমাসের প্রতীতী
\n\n? সমস্ত পদ : সমাসের প্রক্রিয়ায় সমাসবদ্ধ বা সমাসনিষ্পন্ন পদটির নাম সমস্ত পদ [সমন্বিত ৮ ব্যাংক সিনিয়র অফিসার: ১৮; ৭ম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন: ১১; উপজেলা পোস্টমাস্টার : ১০; তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা : ০৬]। যেমন : সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন। এখানে ‘সিংহাসন’ সমস্ত পদ। সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখাবার জন্য হাইফেন ব্যবহার করা হয়।
\n\n? সমস্যমান পদ : সমস্ত পদ বা সমাসবদ্ধ পদটির অন্তর্গত পদগুলোকে সমস্যমান পদ বলে অর্থাৎ যে যে পদে সমাস হয় তাদের প্রত্যেকটির নাম সমস্যমান পদ [৮ম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন : ১২; স্টান্ডার্ড ব্যাংক লি. অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার: ১২]। উপরের উদাহরণে সিংহ, আসন প্রত্যেকটাই আলাদা আলাদা সমস্যমান পদ।
\n\n? পূর্বপদ ও পরপদ : সমাসযুক্ত পদের প্রথম অংশ-কে পূর্বপদ এবং পরবর্তী অংশ-কে উত্তরপদ বা পরপদ বলে [প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৩ ও ১৪]। যেমন : দেশের সেবা= দেশসেবা। এখানে ‘দেশের’ হল পূর্বপদ এবং ‘সেবা’ হল পরপদ বা উত্তরপদ। \n
\n? সমাসবাক্য/ব্যাসবাক্য/বিগ্রহবাক্য : সমস্ত পদকে ভেঙে যে বাক্যাংশ করা হয়, তার নাম সমাসবাক্য, ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য। যেমন- মুখ চন্দ্রের ন্যায় = মুখচন্দ্র। এখানে ‘মুখ চন্দ্রের ন্যায়’ হল ব্যাসবাক্য বা সমাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য [১২তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন : ১৫]।