সঠিক উত্তর হচ্ছে: অনুতাপ
ব্যাখ্যা: প্রশ্ন: সমাস কাকে বলে? সমাস কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ আলোচনা করো।\n\nউত্তর: সমাস: ‘সমাস’ শব্দের অর্থ সংক্ষেপণ। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র মতে, পরস্পর অর্থসঙ্গতিবিশিষ্ট দুই বা ততোধিক পদ মিলিত হয়ে এক পদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে। যেমন—পণ হতে মুক্ত=পণমুক্ত।\n\nব্যাসবাক্য: সমাসের অর্থ প্রকাশ করার জন্য যে বাক্য বা বাক্যাংশ ব্যবহৃত হয়, তাকে ব্যাসবাক্য বলে। যেমন—বিলাত হতে ফেরত=বিলাতফেরত। এখানে ‘বিলাত হতে ফেরত’ হলো ব্যাসবাক্য।\n\nসমস্যমান পদ: যে কয়েকটি পদ মিলে সমাস হয় তাদের সমস্যমান পদ বলে। যেমন—বিলাত হতে ফেরত= বিলাতফেরত। এখানে ‘বিলাত’ ও ‘ফেরত’ পদ দুটো সমস্যমান পদ।\n\nসমস্ত পদ: সমাস নিষ্পন্ন পদকে সমস্ত পদ বলে। যেমন—বিলাত হতে ফেরত=বিলাতফেরত। এখানে ‘বিলাত ফেরত’ পদটি সমস্ত পদ। সমাস সাধারণত ছয় প্রকার।\n\nযথা: ১. দ্বন্দ্ব সমাস ২. কর্মধারয় সমাস\n\n৩. তৎপুরুষ সমাস ৪. দ্বিগু সমাস\n\n৫. অব্যয়ীভাব সমাস ও ৬. বহুব্রীহি সমাস।\n\nদ্বন্দ্ব সমাস: যে সমাসে কয়েক পদে সমাস হয় এবং এদের প্রতিটির অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।\n\nযেমন—গুরু ও শিষ্য=গুরুশিষ্য। দ্বন্দ্ব সমাসে ও, আর, এবং ইত্যাদি অব্যয় ব্যবহৃত হয়; কিন্তু সমস্ত পদে এগুলোর বিলুপ্তি ঘটে।\n\nকর্মধারয় সমাস: বিশেষণ পদের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয় এবং যাতে বিশেষণ একই ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝালেও কর্মধারয় সমাস হয়। যেমন: যিনি রাজা তিনি ঋষি=রাজর্ষি।\n\nতৎপুরুষ সমাস: পূর্ব পদে দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী বিভক্তি লোপ হয়ে যে সমাস হয় এবং যাতে পর পদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।\n\nযেমন—দুঃখকে প্রাপ্ত=দুঃখপ্রাপ্ত।\n\nদ্বিগু সমাস: পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে সমাহার বা সমষ্টি অর্থে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। যেমন—তিন কালের সমাহার=ত্রিকাল, নব রত্নের সমাহার-নবরত্ন ইত্যাদি।\n\nঅব্যয়ীভাব সমাস: পূর্বপদে অব্যয় যোগে যে সমাস হয় এবং যাতে অব্যয়ের অর্থটিই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। যেমন—জলের অভাব=নির্জল, কূলের সমীপে=উপকূল ইত্যাদি।\n\nবহুব্রীহি সমাস: যে সমাসের সমস্ত পদে সমস্যমান পদগুলোর কোনটির অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কোনো তৃতীয় ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন—দশ আনন যার=দশানন। এখানে ‘দশ’ ও ‘আনন’ এই দুই পদে সমাস হয়ে ‘দশানন’ সমস্ত পদটি হয়েছে। কিন্তু ‘দশানন’ পদটি ‘দশ’ ও ‘আনন’ সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে দশ আনন (হাত) বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বোঝাচ্ছে।