menu search
আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ | প্রশ্ন এবং উত্তর প্রদান করে আমাদের সাইট থেকে আয় করতে পারবেন | তাই দেরি না করে এখনই একাউন্ট করেন |
more_vert

নিচের অপশন গুলা দেখুন

  • ৬৬.৬৬%
  • ৪৬.৬৬ %
  • ৩৬.৬৬%
  • ৩০.৬৬ %
thumb_up_off_alt 0 পছন্দ thumb_down_off_alt 0 জনের অপছন্দ

1 উত্তর

more_vert
 
verified
সর্বোত্তম উত্তর
সঠিক উত্তর হচ্ছে: ৪৬.৬৬ %

ব্যাখ্যা: ইউরিয়া (Urea) স্তন্যপায়ী প্রাণীর যকৃতে নাইট্রোজেন যৌগের ভাঙন বা বিপাকের ফলে উৎপন্ন রেচক পদার্থ। মূত্রের মাধ্যমে এ পদার্থ প্রাণীদেহ থেকে নিঃসৃত হয়। পরিশোধনের পর ইউরিয়া সাদা বর্ণের কেলাসিত কঠিন বস্ত্তর রূপ লাভ করে। যকৃত থেকে উৎপন্ন ইউরিয়া রক্তের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে বৃক্কে (কিডনী) গিয়ে পরিশ্রুত হয় এবং মূত্রের উপাদানে পরিণত হয়। মূত্রে ইউরিয়ার ঘনত্ব রক্তের ইউরিয়ার তুলনায় ৬০ থেকে ৭০ গুণ বেশি হয়।\n\n১৭৭৩ সালে গবেষণাগারে লক্ষ্য করা হয় যে, ইউরিয়া উত্তাপে অ্যামোনিয়া তৈরি করে। গবেষণালব্ধ এ ফলাফল থেকে ইউরিয়ার রাসায়নিক গঠনের একটি সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে ইউরিয়ার রাসায়নিক গঠন অনুসরণ করে ১৮২৮ সালে অ্যামোনিয়া ও সায়ানিক এসিড থেকে কৃত্রিম উপায়ে ইউরিয়া প্রস্ত্তত প্রণালী আবিষ্কৃত হয়। এ সাফল্যের ফলে ১৯৭০ সালের মধ্যভাগে ইউরিয়া বিশ্বের প্রধানতম নাইট্রোজেন সার-এ পরিণত হয়। শিল্প-কারখানায় ইউরিয়া থেকে ফরমালডিহাইড প্লাস্টিক, ঔষধপত্র ও সার প্রস্ত্তত করা হয়ে থাকে।\n\nবাংলাদেশে ধান চাষের ক্ষেত্রে জমিতে নাইট্রোজেনের প্রধান উৎস হিসেবে ইউরিয়া সার ব্যবহূত হয়ে থাকে। কৃষিজমিতে সরবরাহকৃত মৃত্তিকার পুষ্টি উপাদানসমূহের মধ্যে নাইট্রোজেনের পরিমাণই সর্বাধিক (প্রায় ৮০ ভাগ)। ১৯৯৫-৯৬ সালে দেশের কৃষিজমিতে প্রয়োগকৃত মোট ১,১৭,৯৩,৯১০ টন নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সালফার ও জিংক সারের মধ্যে শুধু নাইট্রোজেন সারের প্রয়োগই ছিল ৯,৪২,৭৭১ টন।\n\nবাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ রয়েছে। এ গ্যাস থেকে সার উৎপাদনের মাধ্যমে এখানে কৃষি উন্নয়নের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। বর্তমানে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এর তত্ত্বাবধানে ৬টি কারখানায় ইউরিয়া সার উৎপাদিত হচ্ছে। এ সার কারখানাগুলি হচ্ছে: ফেঞ্চুগঞ্জে অবস্থিত এনজিএফএফ (NGFF), ঘোড়াশালে অবস্থিত ইউএফএফএল (UFFL), আশুগঞ্জে অবস্থিত জেডএফসিএল (ZFCL), নরসিংদীর পলাশে অবস্থিত পলাশ সার কারখানা, চট্টগ্রামে অবস্থিত সিইউএফএল (CUFL) এবং জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানা। ১৯৯৬-৯৭ সালে এ সকল সার কারখানার সম্মিলিত মোট উৎপাদন ছিল ১৬ লক্ষ টন যা দেশের মোট চাহিদার ৭৫% যোগানে সক্ষম হয়। যমুনা সার কারখানায় উন্নতমানের মটর-দানা আকৃতির দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদিত হয়ে থাকে যা ধান চাষের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত। উল্লিখিত সার কারখানাগুলি ছাড়াও চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলি নদীর বামতীরে দেশের একমাত্র রপ্তানিমুখী বেসরকারি সার কারখানা কাফকো (KAFCO) বর্তমানে সার উৎপাদনে নিয়োজিত রয়েছে।
thumb_up_off_alt 0 পছন্দ thumb_down_off_alt 0 জনের অপছন্দ

392,493 টি প্রশ্ন

384,181 টি উত্তর

136 টি মন্তব্য

1,286 জন সদস্য

714 অ্যাক্টিভ ইউজার
0 সদস্য 714 অতিথি
আজ ভিজিট : 16581
গতকাল ভিজিট : 161446
সর্বমোট ভিজিট : 80511683
এখানে প্রকাশিত প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোনপ্রকার আইনি সমস্যা সবজানো.কম বহন করবে না৷
...