সঠিক উত্তর হচ্ছে: ‘নেকড়ে অরণ্যে’
ব্যাখ্যা: শওকত ওসমানের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস:
- দুই সৈনিক
- নেকড়ে অরণ্য
- জলাঙ্গী
- জাহান্নাম হইতে বিদায়
‘নেকড়ে অরণ্য’ উপন্যাসে কোন যুদ্ধের ছবি, মুক্তিযুদ্ধের অসীম বিরত্বের কথা, কিংবা বিজয়ের উল্লাস নেই।
- যুদ্ধকালীন পাকিস্তানি বর্বর সৈন্যদের রিরংসবৃত্তির শিকার কতিপয় বন্দিনী নারীর জীবন-যন্ত্রনার আলেখ্য এ উপন্যাস।
- উপন্যাসে লেখক একটি গুদামঘরের বর্ণনা দিয়েছেন। বিশাল গুদামটি টিনে ছাওয়া, সমতল মেঝের।
- একসময় এই ঘরটিই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাপ্টেন রেজা খান, আলী খানদের নারী ধর্ষণের প্রধান ক্ষেত্র হয়ে ওঠে।
- সে আস্তানায় তানিমা, জায়েদা, সখিনা, যামোদিনী, চাষী বৌ রশিদারা ধর্ষিত হয় কখনো পাকিস্তানি ক্যাপ্টেনের দ্বারা, কখনো সাধারণ সৈনিকের দ্বারা।
- তাদের চিৎকার, আর্তনাদ, স্বপ্নভঙ্গের বেদনা, বিপর্যস্ততার নির্মোহ রূপটি তুলে আনেন লেখক এ উপন্যাসে।
- বনের ভেতর নেকড়ের নৃশংসতাও হার মানে যেন ছোট্ট একটুকরো গুদামঘরে।
- কিন্তু তার পরও থেমে থাকে না প্রতিবাদ। ক্যাপ্টেনের গুলি বুক পেতে নেয় তানিমা। আর আত্মহত্যার মাধ্যমে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পায় এইসব বীরাঙ্গানারা।
অন্যদিকে,
- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত \'কাঁদো নদী কাঁদো\' উপন্যাসে গ্রামীণ ও কুমারডাঙ্গার শহুরে পরিবেশের বর্ণনা করা হয়েছে এবং ব্যক্তির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুখ দুঃখ নিয়ে সামষ্টিক অভিজ্ঞতা রচনা করা হয়েছে।
- আবুল ফজল রচিত উপন্যাস - রাঙা প্রভাত।
- শওকত আলী রচিত \'প্রদোষে প্রাকৃতজন\' উপন্যাসে রাজা লক্ষণ সেনের সময়ের সমাজ ও মানুষের দ্বন্দ্ব তুলে ধরা হয়েছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া