সঠিক উত্তর হচ্ছে: একাদশ
ব্যাখ্যা: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে তৎকালীন জার্মান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সে সময়ের রাষ্ট্রপতি ড. উইড্রোউইলসনের নিকট যুদ্ধবিরতির একটি সাধারণ প্রস্তাব পেশ করেন ১৯১৮ সালের অক্টোবর মাসে। এই প্রস্তাবের প্রেক্ষাপটে ড. উড্রোউইলসন তাঁর আলোচিত ১৪ দফা পেশ করেন। এই নীতির উপর নির্ভর করে জার্মানি ও তার মিত্রদেশগুলোর সাথে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। চৌদ্দদফার এগার নং দফায় বলকান দেশগুলোকে স্বাধীন করে দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। চৌদ্দ দফার অন্যান্য দফাসমূহ_____________
\n\n\n? প্রথম : গোপন কূটনীতির ব্যাপারে খোলাখুলিভাবে শান্তিচুক্তির জন্য আলোচনা করা হবে। গোপন চুক্তি স্বন্ধির শর্ত হবে না।
\n\n? দ্বিতীয় : মহাসমুদ্রে নিরপেক্ষ দেশের জাহাজ চলাচলের অবাধ অধিকারকে স্বীকার করা হবে।
\n\n? তৃতীয় : অবাধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সকলের অধিকার নিশ্চিত করা।
\n\n? চতুর্থ : অস্ত্র হ্রাস করে আন্তর্জাতিক যুদ্ধের সম্ভাবনা দূর করতে হবে।
\n\n? পঞ্চম : উপনিবেশগুলোর উপর বিভিন্ন দেশের দাবী স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে বিচার করা হবে।
\n\n? ষষ্ঠ : রাশিয়ার অধিকৃত স্থানগুলোকে রাশিয়াকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
\n\n? সপ্তম : বেলজিয়ামের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা পুন:স্থাপন করা হবে।
\n\n? অষ্টম : ঐতিহাসিক ন্যায়বিচারের জন্য ফ্রান্সকে আলসাস ও লোরেন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
\n\n? নবম : ইতালির জাতীয়তাবাদী আশা অনুযায়ী ইতালির জাতীয় সীমান্ত নির্ধারণ করা হবে।
\n\n? দশম : অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্যের জনগণকে স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ দেওয়া হবে।
\n\n? একাদশ : বলকান রাজ্যগুলোকে স্বাধীনতা দেওয়া হবে। সার্বিয়ার ভূ-খণ্ডকে সমুদ্রের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
\n\n? দ্বাদশ : তুরস্কের সুলতানের সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জাতিগুলোকে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দেওয়া হবে এবং দার্দানেলিস প্রণালিকে আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
\n\n? ত্রয়োদশ : স্বাধীন ও সার্বভৌম পোল্যান্ড স্থাপন করা হবে।
\n\n? চর্তুদশ : ক্ষুদ্র ও বৃহৎ সকল রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও ভৌমিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য এবং আন্তর্জাতিকে বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য বিভিন্ন জাতিগুলোর সমন্বয়ে একটি সংঘ (জাতিপুঞ্জ) স্থাপন করা হবে। (৩৬তম বিসিএস)