সঠিক উত্তর হচ্ছে: যোগরূঢ় শব্দ
ব্যাখ্যা: যোগরূঢ় শব্দ: সমাসবদ্ধ অথবা একাধিক শব্দ বা ধাতুর দ্বারা নিষ্পন্ন শব্দ যখন কোনো আপেক্ষিক অর্থ না বুঝিয়ে অন্য বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে, তখন তাদের যোগরূঢ় শব্দ বলে। যেমন: ‘পঙ্কজ’ শব্দের আপেক্ষিক অর্থ হলো যা পঙ্কে জন্মে তা, অর্থাৎ শৈবাল, পদ্মফুল, কেঁচো প্রভৃতি। কিন্তু পঙ্কজ বললে শুধু পদ্মফুলকেই বোঝায়। কাজেই ‘পঙ্কজ’ যোগরূঢ় শব্দ। প্রশ্ন: শব্দের গঠনমূলক শ্রেণীবিভাগ করো এবং প্রত্যেক প্রকার শব্দের উদাহরণ দাও। অথবা, শব্দ গঠন বলতে কী বোঝ? সার্থক শব্দ গঠনের উপায়গুলো উদাহরণসহ লেখো। অথবা, গঠন অনুযায়ী বাংলা শব্দ কত প্রকার ও কী কী? প্রত্যয় ও উপসর্গযোগে শব্দ কীভাবে গঠিত হয় উদাহরণসহ আলোচনা করো। উত্তর: শব্দের গঠনমূলক শ্রেণীবিভাগ: গঠন অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। যেমন: (ক) মৌলিক শব্দ ও (খ) সাধিত শব্দ। (ক) মৌলিক শব্দ: যেসব শব্দকে ভাঙা বা বিশ্লেষণ করা যায় না এবং যার সঙ্গে কোনো প্রত্যয়, বিভক্তি বা উপসর্গ যুক্ত থাকে না, তাদের মৌলিক শব্দ বলে। উদাহরণ: মা, বাবা, গোলাপ, বই, হাত, আকাশ ইত্যাদি। (খ) সাধিত শব্দ: মৌলিক শব্দ ও ধাতুর সঙ্গে উপসর্গ বা প্রত্যয়যোগে বা সমাসের সাহাযে্য যে শব্দ গঠিত হয়, সেগুলোকে সাধিত শব্দ বলে। উদাহরণ: প্রত্যয়যোগে —মোগল + আই - মোগলাই। উপসর্গযোগে—সু+নাম = সুনাম। সমাসনিষ্পন্ন—তিন ভুবনের সমাহার = ত্রিভুবন ইত্যাদি। প্রশ্ন: দ্বিরুক্তি বা দ্বিরাবৃত্তি বলতে কী বোঝ? তা কত প্রকার ও কী কী উদাহরণসহ আলোচনা করো। উত্তর: দ্বিরুক্তি বা দ্বিরাবৃত্তি: শব্দ, পদ ও ধ্বনিগুচ্ছের পুনরুক্তি করে নতুন ভাব প্রকাশের ব্যবস্থার নাম দ্বিরুক্তি বা দ্বিরাবৃত্তি। একে শব্দদ্বৈতও বলা হয়। দ্বিরুক্তির প্রকারভেদ। এটি তিন প্রকার। যথা: (ক) শব্দদ্বৈত বা শব্দাত্মক দ্বিরুক্তি: একটি শব্দ দুবার ব্যবহার করলে শব্দ দ্বৈত বা শব্দাত্মক দ্বিরুক্তি হয়। যেমন—বাড়ি বাড়ি, বছর বছর। (খ) পদদ্বৈত বা পদাত্মক দ্বিরুক্তি: একই পদ দুবার ব্যবহার করলে পদদ্বৈত বা পদাত্মক দ্বিরুক্তি হয়। যেমন—চোরে চোরে, পথে পথে। (গ) ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি: ধ্বনিসমবায়ে সৃষ্ট অর্থহীন অথচ দ্যোতনা সৃষ্টিকারী শব্দের দুবার ব্যবহারে ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি হয়। যেমন—শন্শন্, কন্কনে।