সঠিক উত্তর হচ্ছে: পুতুল নাচের ইতিকথা
ব্যাখ্যা: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের \'পুতুল নাচের ইতিকথা\' উপন্যাসে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ ঘটেছে।
- ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাসটি।
- উপন্যাসটি শুরু হয় বজ্রাহতে নিহতের বর্ণনা দিয়ে।
- নানা অনুচিত ও কুসংস্কারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এই উপন্যাসে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, (১৯০৮-১৯৫৬):
- কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মে পিতার কর্মস্থল বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকা শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের নিকট মালবদিয়া গ্রামে।
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার, ‘মানিক’ তাঁর ডাকনাম।
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ত্রিশোত্তর বাংলা কথাসাহিত্যের একজন শক্তিমান লেখক।
- স্নাতক শ্রেণিতে অধ্যয়নের সময় বিচিত্রা পত্রিকায় তাঁর প্রথম গল্প ‘অতসী মামী’ (১৯২৮) প্রকাশিত হলে পাঠক মহলে আলোড়নের সৃষ্টি হয়।
- তিনি অর্ধশতাধিক উপন্যাস ও দুশো চবিবশটি গল্প রচনা করেছেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গন্থ:
উপন্যাস
- জননী (১৯৩৫),
- দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫),
- পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬),
- পুতুলনাচের ইতিকথা (১৯৩৬),
- শহরতলী (১৯৪০-৪১),
- চিহ্ন (১৯৪৭),
- চতুষ্কোণ (১৯৪৮),
- সার্বজনীন (১৯৫২),
- আরোগ্য (১৯৫৩) প্রভৃতি;
ছোটগল্প
- অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প (১৯৩৫),
- প্রাগৈতিহাসিক (১৯৩৭),
- সরীসৃপ (১৯৩৯),
- সমুদ্রের স্বাদ (১৯৪৩),
- হলুদ পোড়া (১৯৪৫),
- আজ কাল পরশুর গল্প (১৯৪৬),
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৫০),
- ফেরিওয়ালা (১৯৫৩) ইত্যাদি।
- পদ্মানদীর মাঝি ও পুতুলনাচের ইতিকথা উপন্যাস দুটি তাঁর বিখ্যাত রচনা।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।