সঠিক উত্তর হচ্ছে: সবগুলােই
ব্যাখ্যা: মিশরীয়দের কেউ অবশ্য বিশুদ্ধ বিজ্ঞানী ছিলেন না; এজন্য বিশ্বজগতের প্রকৃত চিত্র জানার জন্য তারা কখনো চেষ্টা করেনি। ফলে; জ্যোতির্বিদ্যার ক্ষেত্রে তারা বেশি সাফল্য লাভ করতে পারে নি। তবে তারা সৌর পঞ্জিকার আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়।\n\nলুব্ধক নক্ষত্রের আবির্ভাব কাল পর্যবেক্ষণ করে তারা ৩৬৫ দিনে বছর গণনার রীতির প্রচলন করে! তার আগে মিশরীয়রা চন্দ্রমাস ভিত্তিক হিসাব রাখতো; কিন্তু এতে একটু সমস্যা হয়েছিল।\n\nতারা ধ্রুব নক্ষত্রের সাহায্যে দিক নির্ণয় করে, পূর্বমুখী মন্দির বা পিরামিড নির্মাণ করতো। তারা নক্ষত্রের গতি পর্যবেক্ষণের জন্য সরল ধরনের; সুন্দর যন্ত্রের উদ্ভব করেছিলো।\n\nএকটা খেজুর পাতার মাঝখানে খানিকটা অংশ লম্বালম্বি কেটে, তার ফাক বরাবর একটা লম্বা সুতা ঝুলিয়ে দেওয়া হতো; এবং একটা নক্ষত্র যখন এ সূতাটিকে অতিক্রম করত; তখন সে সময়কে লিপি বদ্ধ করা হতো। এছাড়াও; মিশরীয়রা দিনের আলোর ছায়া মেপে সময় নিরূপণের জন্য ছায়া ঘড়ি বা সূর্য ঘড়ি আবিষ্কার করতেও সক্ষম হয়। \n মিশরীয়রা চিত্রলিপি উদ্ভাবন করে। ধীরে ধীরে এই লিপির মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ পেতে থাকে; এবং সর্বাধিক যুক্ত অক্ষরের শব্দ তৈরি হতে থাকে; এবং মনের ভাব প্রকাশের জন্য চূড়ান্তভাবে তারাই সর্বপ্রথম ২৪টি ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণমালা আবিষ্কার করে।\n হায়ারোগ্লিফিক লিখন পদ্ধতি, তার চারিত্রিক দিক থেকে তিনটি রূপ লাভ করেছিল। এক- চিত্রভিত্তিক লিপি; দুই- অক্ষরভিত্তিক লিপি এবং তিন- বর্ণভিত্তিক লিপি। সুতরাং; ঐতিহাসিক ডেভিসের ভাষায় মিশরীয়রাই প্রথম লিখন পদ্ধতির আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। যাকে; মানব সভ্যতা বিকাশে এক বড় অবদান হিসেবে গণ্য করা হয়।