নিচের অপশন গুলা দেখুন
- নির্জনের স্বপ্নভঙ্গ
- নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ
- নিরুদ্দেশ যাত্রা
- প্রভাতসংগীত
রবীন্দ্রনাথের প্রভাতসংগীত কাব্যটির (প্রকাশকাল বৈশাখ ১২৯০) দীর্ঘ কবিতা ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গে’ ‘আজি এ প্রভাতে রবির কর’ – এই কাব্যপঙক্তিতে রবি তথা সূর্যকে সংবর্ধিত করার যে উচ্ছ্বসিত গীতময়তা তা মিলে যায় জীবনের শেষ কাব্য শেষ লেখার ‘প্রথম দিনের সূর্য’ কবিতার সূর্যের সঙ্গে। তবে শেষোক্ত কবিতাটি অতিসংহত, সংবৃত, মন্ত্রবাণীর মতো। এই দুই কাব্যের কবিতাদুটি মিলিয়ে পড়লে আমরা রবীন্দ্রকাব্যাদর্শের একটা বৃত্তায়ন রচনার লেখচিত্র পাই – যা আংটির মতো গোল – শুরু ও শেষ একই, যে-কোনো জায়গায় যেন শুরু ও শেষ হতে পারে। সারাজীবনের অভিজ্ঞতার জটিল সংশ্লেষ, উপনিষদ-ঈশ্বরভাবনা, পাশ্চাত্য দর্শনচিন্তার অভিঘাত, সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় গড়ে-ওঠা তাঁর চৈতন্য শেষ পর্যন্ত নানা বাঁক ঘুরে, পরিবর্তন-রূপান্তরের মধ্য দিয়ে এই সূর্য-প্রতিমার একটি অপরিবর্তনীয় সূত্র বেঁধে দিয়েছিল। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁর বদলে-যাওয়া কালচেতনা – ক্ষণকালের উদ্ভাস আর নিত্য পরিবর্তনশীল – ‘সবকিছু চলিয়াছে নিরন্তর পরিবর্তনবেগে, / সেই তো কালের ধর্ম। ’ (শেষ লেখা, ২নং কবিতা) অপরিবর্তনীয় সূত্রটি তাই শেষ পর্যন্ত অবিকল ছিল না।
সুত্রঃ কালি ও কলম