সঠিক উত্তর হচ্ছে: রাজসিংহ
ব্যাখ্যা: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের “রাজসিংহ” উপন্যাসটি একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস। প্রথম প্রকাশ বঙ্গদর্শন পত্রিকায় । পত্রিকায় অসমাপ্ত উপন্যাসটি সমাপ্ত করে ১৮৮২ সালে ৮৩ পৃষ্ঠার প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় সংস্করণে পৃষ্ঠাসংখ্যা বেড়ে হয় ৯০। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে চতুর্থ সংস্করণে পৃষ্ঠাসংখ্যা হয় ৪৩৪। “রাজসিংহ” উপন্যাসটি তিনটি খণ্ডে বিভক্ত, এক একটি খণ্ডে আবার কয়েকটি পরিচ্ছেদ রয়েছে। প্রতিটি পরিচ্ছদে ভিন্ন ভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে। এখানে মোট বিশটি পর্ব আছে। এই উপন্যাসটি রচিত হয়েছে মুঘল সাম্রাজ্য এর শাসন আমলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আওরঙ্গজেব এর শাসন আমল, সেই সময়কার ঘটনা, চরিত্র, যুদ্ধ ইতিহাস নিয়ে এগিয়ে চলেছে “রাজসিংহ” উপন্যাসটি। রাজসিংহের সাথে মোগল বাদশাহের সে যুদ্ধ হয়েছিল সেই যুদ্ধ এখানে বর্ণিত আছে। ইতিহাসে কখনো যুদ্ধের পুরোটা বর্ণনা থাকে না এই যেমন যুদ্ধের প্রকরণ ইতিহাসে থাকে নাই ।সেই ক্ষেত্রে লেখক এখানে নিজের মত করে যুদ্ধের প্রকরণ বর্ণনা করেছে। ঐতিহাসিক ব্যক্তি আওরঙ্গজেব, রাজসিংহ, জেব-উল্লিসা, উদিপুরী এই উপন্যাসের চরিত্র। ইতিহাসে তাঁদের যে বর্ণনা দেওয়া আছে লেখকও ঠিক সে রকম বর্ণনা দিয়েছের তাঁদের। বাংলা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাম শুনেন নাই এমন পাঠ্যক পাওয়া যাবে না। বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তাঁর অসীম অবদানের জন্যে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। তাঁকে সাধারণত প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে গীতার ব্যাখ্যাদাতা হিসাবে, সাহিত্য সমালোচক হিসাবেও তিনি বিশেষ খ্যাতিমান। তিনি জীবিকাসূত্রে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যপত্র বঙ্গদর্শনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছদ্মনাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি বেছে নিয়েছিলেন। তিনি অনেক গুলি ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনা করেন। এর মধ্য “রাজসিংহ” উপন্যাসটি অন্যতম। বইটি পড়ে আমরা ইতিহাসের স্বাদ ও উপন্যাসের স্বাদ এক সাথে নিতে পারবো।‘রাজসিংহ’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় এর লেখা একটি বই । বঙ্কিমচন্দ্র আমাদের কাছে একটি পরিচিত নাম । তার জন্ম ১৮৩৮ সালের ২৬ জুন । উনিশ শতকের বাঙালি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তাঁর অসীম অবদানের জন্যে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। তাঁকে সাধারণত প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে গীতার ব্যাখ্যাদাতা হিসাবে, সাহিত্য সমালোচক হিসাবেও তিনি বিশেষ খ্যাতিমান। তিনি জীবিকাসূত্রে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যপত্র বঙ্গদর্শনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছদ্মনাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি বেছে নিয়েছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয় বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি শহরের নিকটস্থ কাঁঠালপাড়া গ্রামে। রাজসিংহ বইটি প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় ঝিনুক প্রকাশনী থেকে এবং বইটির প্রকাশক নুরুল ইসলাম । প্রচ্ছদ ডিজাইন করেছেন নিয়াজ চৌধুরী তুলি । বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের একজন পথিকৃত । তিনি তার সময়ে বাংলা সাহিত্য কে নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য রকম স্থানে । পাশ্চাত্যের সাহত্যজগত এর উপন্যাস সাহিত্য এর আবির্ভাব বেশ কয়েক শতবছর আগের । কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্র উনবিংশ শতাব্দী তে এ ধরনের শিল্পকর্মে হাত দেন । কিন্তু তখন বাংলা সাহিত্য এর চর্চা করা এতোটা সহজ ছিলো না ইংরেজ দের সাহিত্যের জন্য । তিনি এ ধারা ভেঙ্গে বাংলা সাহিত্য চর্চায় অগ্রসর হন এই জন্য তাকে সাহিত্যসম্রাট উপাধি দেওয়া হয় , বাংলার মানুষ ও তাকে এই নামেই চিনে । তার লেখা পড়লে আমাদের মধ্যে বাংলা এর মুল বুঝতে সুবিধা হবে , বাংলা ভাষা এর আসল মজা উপভোগ করার জন্য যাদের ইচ্ছা রয়েছে তাদের নিকট এ বইটি হতে পারে অসাধারন একটি বই ।\n