সঠিক উত্তর হচ্ছে: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ
ব্যাখ্যা: ষাট সার্গে রচিত ৮৭০ পৃষ্ঠা ব্যাপী মহাকাব্য এই মহাশ্মশান। এটি প্রথম ধারাবাহিকভাবে মোহাম্মদ রওশন আলী সম্পাদিত ” কোহিনূর” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বাংলা সাহিত্যের এই সর্ববৃহৎ মহাকাব্যের কাহিনী সূত্র পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের প্রেক্ষাপট।\n\n১৭৬১ সালে আহমেদ শাহ আবদালী ও মারাঠাদের মধ্যে সংঘটিত হয় পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ। মুসলিম পক্ষের নেতৃত্বে কাবুল অধিপতি আহমেদ শাহ আবদালী এবং মেহেদী বেগের কন্যা জোহরা বেগম। মারাঠাদের সেনাপতি জোহরা বেগমের পতি ইব্রাহিম কার্দি।স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে গোপনে অনেকবার মারাঠা শিবিরে যান জোহরা বেগম। সেনাপতি ইব্রাহিম কাদি স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসলেও আদর্শগত কারণে মারাঠাপক্ষ ত্যাগ করতে পারেন না। কারণ যখন তার চাকরি ছিলো না। তখন এই মারাঠাপক্ষ তাকে চাকরি দিয়েছিলো, দিয়েছিলো সেনাপতির মতো সন্মানীয় পদ। একসময় যুদ্ধ সমাপ্ত হয়. মুসলিম পক্ষ জয় লাভ করে মারাঠারা হয় পরাজিত ও বন্দী।\nবন্দী স্বামীর মুক্তির দাবি জানান জোহরা বেগম, মুক্তির ফরমান নিয়ে যখন তিনি কারাগারে পৌঁছেছেন তখন অনেক দেরী হয়ে হয়ে গেছে। ইব্রাহিম কার্দি ক্ষুদ্র মুক্তিকে অস্বীকার করে বৃহৎ মুক্তিকে গ্রহণ করেছেন।\nমুনীর চৌধুরী তার রচিত “রক্তাক্ত প্রান্তর\" নাটকের কাহিনী এই মহাকাব্য থেকেই নিয়েছেন।\n\nএছাড়াও মহাকবি কায়কোবাদ রচনা করে গেছেন অনেক কাব্যগ্রন্থ যা বাংলা সাহিত্যকে করেছে আরও সমৃদ্ধ।