menu search
আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ | প্রশ্ন এবং উত্তর প্রদান করে আমাদের সাইট থেকে আয় করতে পারবেন | তাই দেরি না করে এখনই একাউন্ট করেন |
more_vert
thumb_up_off_alt 0 পছন্দ thumb_down_off_alt 0 জনের অপছন্দ

1 উত্তর

more_vert

তিমি সিটাসিয়া বর্গভুক্ত জলজ স্তন্যপায়ী যারা না ডলফিন (অর্থাৎ এরা ডেলফিনিডে বা প্লটানিস্টয়িডে কোনটিরই সদস্য নয়) না শুশুক। যদিও তিমিকে প্রায়ই তিমি মাছ বলা হয়, এরা কিন্তু মোটেও মাছ নয়, বরং মানুষের মতই স্তন্যপায়ী প্রাণী।তিমিকে আরেকটি কারণেও মাছ বলা যায় না। সেটি হল, মাছেদের শ্বাস নেওয়ার জন্য ফুলকা থাকে, কিন্তু তিমির শ্বাস নেওয়ার জন্য থাকে ফুসফুস। তিমির বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী নীল তিমি, খুনে তিমি (killer whale), এবং পাইলট তিমি, যার নামের সাথে তিমি আছে বটে কিন্তু জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাসের প্রয়োজনে তাদের ডলফিন হিসেবে গণ্য করা হয়। বহু শতাব্দী ধরে মানুষ মাংস, তেল ও অন্যান্য কাঁচামালের প্রয়োজনে তিমি শিকার করে চলেছে। বিংশ শতাব্দীর ব্যাপক নিধনযজ্ঞে তিমির বেশ কিছু প্রজাতি গভীরভাবে বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তিমিকে মোটা দাগে শিকারী প্রাণীর কাতারে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তবে এর খাদ্য তালিকায় আণুবীক্ষনিক প্লাংকটন থেকে শুরু করে বড়সড় মাছ পর্যন্ত সবই আছে। এছাড়া তিমি দিনে প্রায় তিন থেকে চার হাজার কেজি ছোট চিংড়ি জাতীয় ক্রিল খায়। স্তন্যপায়ী বিধায় তিমির নিঃশ্বাস নেবার জন্যে অক্সিজেনের দরকার পড়ে আর এ জন্যে তিমিকে পানির ওপর ভেসে উঠতে হয়। এ কাজটি তিমি তার সুবিশাল নাসারন্ধ্রের মাধ্যমে সম্পন্ন করে। অনেক তিমি আবার পানির ওপর ভেসে উঠে জলক্রীড়া ও লেজ দিয়ে পানিতে আঘাত করার খেলায় মেতে ওঠে। তাদের পরিপ্বার্শের কারণে তিমির শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া অনেক প্রাণীর থেকেই ভিন্ন: তিমি নিজেই ঠিক করে সে কখন শ্বাস গ্রহণ করবে। আর সব স্তন্যপায়ীর মত তিমিকেও ঘুমাতে হয়, তবে তারা খুব বেশি সময়ের জন্যে পরিপূর্ণ নিদ্রাসুখ উপভোগ করতে পারে না, কারণ তাদের শ্বাস নেবার জন্যে কিছু সময় পরপর পানির ওপর উঠতে হয়। ধারণা করা হয় তিমির মস্তিষ্কের অংশদুটি পালাক্রমে ঘুমায়, তাই তিমিরা কখনোই পুরোপুরি ঘুমন্ত থাকে না, তবে তিমি তার চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম গ্রহণ করে। তিমির এক চোখ খোলা রেখে ঘুমানোর কারণেই এমনটি মনে করা হয়। তিমিরা পরষ্পরের সাথে এক ধরনের সুরেলা শব্দ করে যোগাযোগ করে, যা তিমির গান নামে পরিচিত। তিমির বিশালতা ও শক্তিমত্ততার মতোই এদের গানও অনেক জোরালো (প্রজাতিভেদে); স্পার্ম তিমির গান মৃদু গুঞ্জনের মতো শোনায়, আবার সব শিকারী দাঁতযুক্ত তিমি (অডোন্টোসেটি) শব্দযোগাযোগ ব্যবহার করে, যা বহু মাইল দূর থেকেও শুনতে পাওয়া যায়। জানা গেছে তিমি ১৬৩ ডেসিবেল শব্দ তীব্রতায় ২০,০০০ একুস্টিক ওয়াটে শব্দ তৈরি করে।[১] স্ত্রী তিমি একটি করে বাচ্চার জন্ম দেয়। এর লালন-পালন করার সময়টি বেশ দীর্ঘ (অধিকাংশ প্রজাতিতেই এক বছরের বেশি), এ সময়টিতে মা ও শিশু তিমির মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধন গড়ে ওঠে। বেশিরভাগ তিমির প্রজনন উপযোগী হবার বয়স মোটামুটি দীর্ঘ, সাধারণত সাত থেকে দশ বছর। এমন প্রজনন ধারায় খুব অল্প সংখ্যক বংশধরই তৈরি হয়, তবে তাদের টিকে থাকার সম্ভাবনাও বেশি হয়। তিমি সাধারণত প্রজননের সময় সুনির্দিষ্ট সঙ্গী বাছাই করে না: অনেক প্রজাতিতেই প্রতি মৌসুমে একটি স্ত্রী তিমির একাধিক সঙ্গী থাকে। জন্মের সময় নবজাতকেরা লেজ-প্রথম অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়, যার ফলে এর ডুবে যাবার ঝুঁকি কম হয়। জলজ পরিবেশে মা তিমি তার শিশুকে পেস্টের মত দলা পাকানো দুধ পান করায়।[২] এই দুধে প্রায় ৫০ শতাংশ ফ্যাট থাকে এবং শিশু তিমি প্রায় ৬ মাস বয়স পর্যন্ত এই দুধ পান করে।[৩]

thumb_up_off_alt 0 পছন্দ thumb_down_off_alt 0 জনের অপছন্দ

392,494 টি প্রশ্ন

384,186 টি উত্তর

137 টি মন্তব্য

1,301 জন সদস্য

804 অ্যাক্টিভ ইউজার
0 সদস্য 804 অতিথি
আজ ভিজিট : 178002
গতকাল ভিজিট : 162092
সর্বমোট ভিজিট : 88176151
এখানে প্রকাশিত প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোনপ্রকার আইনি সমস্যা সবজানো.কম বহন করবে না৷
...