সঠিক উত্তর হচ্ছে: ৩
ব্যাখ্যা: সাধিত শব্দ কত প্রকার\nসাধিত শব্দকে অর্থের ভিত্তিতে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
\n১: যৌগিক শব্দ বা অপরিবর্তিত সাধিত শব্দ\nযে সাধিত শব্দগুলির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও প্রচলিত অর্থ এক, তাদের বলা হয় যৌগিক শব্দ বা অপরিবর্তিত সাধিত শব্দ বা অপরিবর্তিত যৌগিক শব্দ।
\nযেমন: \'গ্রাহক\' কথার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ \'যে গ্রহণ করে\'। বর্তমানেও \'গ্রাহক\' কথার অর্থ \'যে গ্রহণ করে\' বা \'যে কিছু নেয়\'।
\n২: রূপান্তরিত যৌগিক শব্দ বা রূঢ়ি শব্দ বা রূঢ় শব্দ
\nযে সব সাধিত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও প্রচলিত অর্থ এতটাই আলাদা যে দুটি অর্থের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন, তাদের বলে রূঢ় শব্দ বা রূঢ়ি শব্দ বা রূপান্তরিত যৌগিক শব্দ।
\nযেমন: \'সন্দেশ\' শব্দের আক্ষরিক অর্থ \'খবর\' , বর্তমান অর্থ \'এক ধরনের মিষ্টান্ন\'।
\n৩: যোগরূঢ় শব্দ বা সংকুচিত যৌগিক শব্দ\nযে সব সাধিত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ব্যাপক হলেও বর্তমানে সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহৃত হয়, তাদের বলে যোগরূঢ় শব্দ বা সংকুচিত যৌগিক শব্দ।
\nযেমন: \'পঙ্কজ\' কথার আক্ষরিক বা ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল \'যা পাঁকে জন্মায়\'। পাঁকে তো অনেক কিছুই জন্মায়, বর্তমানে পঙ্কজ বলতে তাদের সবাইকে বোঝায় না, শুধুমাত্র পদ্মকে বোঝায়। সুতরাং \'পঙ্কজ\' শব্দের অর্থ সংকুচিত হয়েছে। তাই এটি একটি যোগরূঢ় শব্দ বা সংকুচিত যৌগিক শব্দ।