সঠিক উত্তর হচ্ছে: উপন্যাস
ব্যাখ্যা: অধ্যাপক মাহবুবুল আলম রচিত “বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস” বই অনুসারে,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “শেষের কবিতা” প্রধানত গীতিধর্মী উপন্যাস। ‘মালঞ্চ’, ‘দুইবোন’ - উপন্যাস দুটিও একই ধরণের।
“শেষের কবিতা” উপন্যাসটি সমন্বয়সুষমা ও কবিত্বমন্ডিত বিশ্লেষণশক্তির দিক দিয়ে রবীন্দ্রনাথের পরবর্তী উপন্যাসগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান দাবি করতে পারে। বিষয়ের ঐক্য ও আলোচনার সমগ্রতায়, অবান্তর বস্তুর প্রায় সম্পূর্ণ বর্জনে অন্যান্য উপন্যাস থেকে ‘শেষের কবিতা’ যথেষ্ঠ উৎকর্ষ লাভ করেছে।
কোন পুরুষ বা নারীর পক্ষে এক সঙ্গে দুজনকে অবিরোধে ভালোবাসা সম্ভব এবং সে ভালোবাসা এক পাত্রসম্পর্কিত (স্বামী/স্ত্রী), অপর পাত্র নিঃসম্পর্ক হতে পারে -- এটিই শেষের কবিতা উপন্যাসের আখ্যানবস্তুর ভাববীজ।
এখানে লাবণ্য-অমিতরায়-কেতকী-শোভনলালের চরিত্রের মাধ্যমে প্রেমের বিচিত্র বিকাশ দেখানো হয়েছে। ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসের ভাষা যে কেবল কবিত্বময় তা নয়, উপন্যাসের বক্তব্যকে সুস্পষ্ট করার জন্য অনেক কবিতাও ব্যবহার করেছেন। উপন্যাসের কাঠামোগত এই অভিনবত্ব রবীন্দ্রনাথ খুব সার্থকতা সহকারে এ উপন্যাসে রূপায়িত করে তুলেছেন।
- এছাড়াও বাংলাপিডিয়াতেও শেষের কবিতাকে কাব্যধর্মী উপন্যাস হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর অনুসারে,
শেষের কবিতা (১৯২৯) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস। এটি তার আগে \"প্রবাসী\" পত্রিকায় ১৯২৮ সালে ছাপা হয়।
উপন্যাসের কতিপয় বাক্য আজ প্রবাদের মর্যাদা পেয়েছে।
যেমনঃ
- ফ্যাশনটা হলো মুখোশ, স্টাইলটা হলো মুখশ্রী।
- কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও - এই কবিতা দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষের কবিতা উপন্যাসের সমাপ্তি টানেন।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এটা বলা যায় যে,
১. প্রশ্নের অপশনে কাব্যোপন্যাস/গীতধর্মী উপন্যাস থাকলে উত্তর হিসাবে এটিই বেশি যুক্তিযুক্ত।
২. অপশনে কাব্যোপন্যাস/গীতধর্মী না থাকলে “উপন্যাস” উত্তর করা যাবে।