আচার্য/স্যার জগদীশচন্দ্র বসু/বোস একজন বাঙালি জীববিজ্ঞানী, পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ এবং কল্পবিজ্ঞানের প্রথম দিকের লেখক ছিলেন। তিনি রেডিও এবং মাইক্রোওয়েভ অপটিক্সের তদন্তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন, উদ্ভিদ বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন এবং ভারতীয় উপমহাদেশে পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানের প্রসারের পিছনে একটি প্রধান শক্তি ছিলেন।মূলত তারবিহীন প্রযুক্তিতে তিনি যে অবদান রেখেছেন সেটার কল্যাণেই আজকে আমরা ওয়াইফাই, ব্লুটুথ বা স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ খুব সহজে ব্যবহার করতে পারছি। যদিও আমরা আধুনিক রেডিও-র জনক হিসেবে জি.মার্কনিকে বিবেচনা করে থাকি ১৯০১ সালে তার আবিষ্কারের জন্য, কিন্তু তার কয়েক বছর আগেই স্যার জগদীশচন্দ্র বসু তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করেন। IEEE তাকে রেডিও বিজ্ঞানের অন্যতম জনক বলেছে। বোসকে বাংলা কল্পবিজ্ঞানের জনক হিসাবে বিবেচনা করা হয়, এবং তিনি ক্রেস্কোগ্রাফ আবিষ্কার করেছিলেন, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধি পরিমাপের একটি যন্ত্র। জগদীশ চন্দ্র বসু ১৮৫৮ সালের ৩০শে নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি (বর্তমান বাংলাদেশ) অঞ্চলের মুন্সীগঞ্জ জন্মগ্রহণ করেন। বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে তাঁর পরিবারের প্রকৃত বাসস্থান ছিল।
তথ্যসূত্রঃ
উইকিপিডিয়া