menu search
আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ | প্রশ্ন এবং উত্তর প্রদান করে আমাদের সাইট থেকে আয় করতে পারবেন | তাই দেরি না করে এখনই একাউন্ট করেন |
more_vert

সদকাতুল ফিতর কতটুকু আদায় করবে?

এর জন্য কোন একটি সম্পর্কযুক্ত উত্তর: কোন কোন সময়ে নামায আদায় করা নিষেধ?
thumb_up_off_alt 0 পছন্দ thumb_down_off_alt 0 জনের অপছন্দ

1 উত্তর

more_vert

সদাকায়ে ফিতর সম্পর্কিত হাদিসগুলো পর্যালোচনা করলে এ বিষয়ে মোট পাঁচ প্রকার খাদ্যের বর্ণনা পাওয়া যায়- যব, খেজুর, পনির, কিশমিশ ও গম। এ পাঁচ প্রকারের মধ্যে যব, খেজুর, পনির ও কিশমিশ দ্বারা সদকা ফিতর আদায় করতে চাইলে প্রত্যেকের জন্য এক ‘সা’ দিতে হবে। আর গম দ্বারা আদায় করতে চাইলে আধা ‘সা’ দিতে হবে। এটা হলো ওজনের দিক দিয়ে তফাত। আর মূল্যের দিক থেকে তো পার্থক্য রয়েছেই। যেমন- (ক) আজওয়া (উন্নতমানের) খেজুরের মূল্য প্রতি কেজি এক হাজার টাকা হলে একজনের সদকায়ে ফিতর দাঁড়ায় তিন হাজার দুই শ’ ছাপ্পান্ন টাকা। (খ) মধ্যম ধরনের খেজুর, যার মূল্য প্রতি কেজি ৩০০ টাকা হলে একজনের সদকায়ে ফিতর দাঁড়ায় ৯৭৭ টাকা। (গ) কিশমিশ প্রতি কেজি ২৩০ টাকা করে হলে একজনের সদকায়ে ফিতর দাঁড়ায় ৭৪৮ টাকা। (ঘ) পনির প্রতি কেজি ৫০০ টাকা করে ধরা হলে একজনের সদকায়ে ফিতর দাঁড়ায় এক হাজার ছয় শ’ আটাশ টাকা। (ঙ) গম দিয়ে আদায় করলে একজনের সদকায়ে ফিতর দাঁড়ায় ৭০ টাকা। (এসব মূল্য নিজ নিজ এলাকার বাজার দর অনুযায়ী প্রাক্কলিত। স্থান ও সময়ভেদে এসব পরিবর্তনযোগ্য। মূল্যটি মুখ্য নয়, বরং পরিমাপের সাথে মিলে যায় এমন পরিমাণ মূল্য যেন ফিতরায় দেয়া হয়।)

হাদিসে এ ৫টি দ্রব্যের যেকোনোটি দ্বারা ফিতরা আদায়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে যেন মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য ও সুবিধা অনুযায়ী এর যেকোনো ১টি দ্বারা তা আদায় করতে পারে। এখন লক্ষণীয় বিষয় হলো, সকল শ্রেণির লোক যদি সবচেয়ে নিম্ন মূল্যমানের দ্রব্য দিয়েই নিয়মিত সদকা ফিতর আদায় করে তবে হাদিসে বর্ণিত অন্য চারটি দ্রব্যের হিসেবে ফিতরা আদায়ের ওপর আমল করবে কে? আসলে এ ক্ষেত্রে হওয়া উচিত ছিল এমন যে, যে ব্যক্তি উন্নতমানের আজওয়া খেজুরের হিসাবে সদকা ফিতর আদায় করার সামর্থ্য রাখে সে তা দিয়েই আদায় করবে। যার সাধ্য পনিরের হিসাবে দেয়ার সে তাই দেবে।

এর চেয়ে কম আয়ের লোকেরা খেজুর বা কিশমিশের হিসাব গ্রহণ করতে পারে। আর যার জন্য এগুলোর হিসাবে দেয়া কঠিন সে আদায় করবে গম দ্বারা। এটিই উত্তম নিয়ম। এ নিয়মই ছিল নবী, সাহাবা-তাবেইন ও তাবে তাবেইনের স্বর্ণযুগে। এ পর্যন্ত কোথাও দুর্বল সূত্রে একটি প্রমাণ মেলেনি যে, স্বর্ণযুগের কোনো সময়ে সব শ্রেণির সম্পদশালী সর্বনি¤œ মূল্যের দ্রব্য দ্বারা সদকা ফিতর আদায় করেছেন। এখানে এ সংক্রান্ত কিছু বরাত পেশ করা হচ্ছে।

হাদিস : নবী করিম (সা.) কে সর্বোত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ইরশাদ করেন- ‘দাতার নিকট যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি।’ -সহিহ বুখারী, কিতাবুল ইতক ৩/১৮৮; সহিহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান বাব আফযালুল আমল ১/৬৯।

সাহাবায়ে কেরামের আমল : (ক) হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা সদকা ফিতর আদায় করতাম এক ‘সা’ খাদ্য দ্বারা অথবা এক ‘সা’ যব অথবা এক ‘সা’ খেজুর কিংবা এক ‘সা’ পনির বা এক ‘সা’ কিশমিশ দ্বারা। আর এক ‘সা’-এর ওজন ছিল নবী করিম (সা.) এর ‘সা’ অনুযায়ী। (মুয়াত্তা মালেক পৃ.১২৪; আল ইসতিযকার, হাদিস ৫৮৯, ৯/৩৪৮)। এ হাদিসে রাসূলের যুগে এবং সাহাবাদের আমলে সদকা ফিতর কোন কোন বস্তু দ্বারা আদায় করা হতো তার সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে।

(খ) হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. সারা জীবন খেজুর দ্বারাই সদকা ফিতর আদায় করেছেন। তিনি একবার মাত্র যব দ্বারা আদায় করেছেন। (আল ইসতিযকার, হাদিস নং ৫৯০, ৯/৩৫৪)। ইবনে কুদামা (রা.) আবু মিজলাযের বর্ণনা উল্লেখ করে বলেন, এ বর্ণনা দ্বারা বোঝা যায় যে, সাহাবায়ে কেরাম অধিকাংশই যেহেতু খেজুর দ্বারা ফিতরা আদায় করতেন তাই ইবনে ওমর (রা.) সাহাবাদের তরিকা অবলম্বন করতে সারা জীবন খেজুর দ্বারাই আদায় করেছেন। এ প্রসঙ্গে ইবনে ওমরের ভাষ্য হলো- ‘সাহাবিগণ যে পথে চলেছেন আমিও সে পথেই চলতে আগ্রহী।’

thumb_up_off_alt 0 পছন্দ thumb_down_off_alt 0 জনের অপছন্দ

392,495 টি প্রশ্ন

384,191 টি উত্তর

137 টি মন্তব্য

1,311 জন সদস্য

371 অ্যাক্টিভ ইউজার
0 সদস্য 371 অতিথি
আজ ভিজিট : 86322
গতকাল ভিজিট : 146366
সর্বমোট ভিজিট : 94278873
এখানে প্রকাশিত প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোনপ্রকার আইনি সমস্যা সবজানো.কম বহন করবে না৷
...