শুক্রানু তৈরি হয় অন্ডথলির প্যাচানো সেমিনিফেরাস জালিকায় অবস্থিত জার্মিনাল এপিথেলিয়াম নিউসেলাস কোষ থেকে। এই কোষ মিয়োসিস বিভাজন প্রক্রিয়ায় (মিয়োসিস প্রক্রিয়ার মধ্যে একটি মাইটোসিস ধাপ থাকে) বিভাজিত হয়ে একটি কোষ থেকে ৪ টি শুক্রানু তৈরি হয়। শুক্রানু তৈরির প্রক্রিইয়াকে স্পার্মাটোজেনেসিস বলে। এই প্রক্রিয়া জার্মিনাল মাতৃ কোষটি প্রথমে মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে দুটি হ্যাপ্লয়েড কোষ সৃষ্টি করে, এটি দ্বিতীয় ধাপে মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় আবার বিভাজিত হয় কিন্তু ক্রোমোজম সংখ্যা হ্যাপ্লয়েড থাকে। ফলে মোট ৪টি হ্যাপ্লয়েড কোষের সৃষ্টি করে একে প্রাইমারী স্পার্মাটোসাইট বলে, পরে বৃদ্ধি পর্যায় ও পূর্ণিতা পর্যায়ে ৪টি স্পার্মাটিড উৎপন্ন করে। এর পর স্পার্মিওজেনেসিস প্রক্রিয়ায় এই স্পার্মাটিড গুলো মস্তক, গ্রীবা ,লেজ ও এক্রোসোম সৃষ্টি করে পুর্ণ শুক্রানুতে পরিণত হয়। এতে মোট সময় লাগে ৭৪-১২০ দিনের মত। (এখানে শুধু ধাপ গুলো বর্ণনা করা হয়েছে, কোন ধাপে কি পরিবর্তন হয় তা লেখা হয়নি কারন তা চিত্র সহ করতে গেলে অনেক সময় লাগবে) (যদি আপনি পরীক্ষার জন্য চান তবে মেসেজ দিবেন, আর জানার জন্য মনে হয় এইটুকুই যথেষ্ট) স্বাভাবিক ভাবে বয়স বেড়ে যাবার পর শুক্রানূ কমতে থাকে। কিন্তু অল্প বয়সে কমতে পারে হস্তমৈথুনের অভ্যাস বা অতিরিক্ত সহবাস করেন কিন্তু পুষ্টিকর খাবার গ্রহন না করার জন্য। কমে গেলে পুষ্টিকর খাবার খেলে কিছুটা বাড়ে বৈকি। কিন্তু হস্তমৈথুনের ফলে কমলে বাড়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে কারন এটিকে বলা হয় জোরপুর্বক, আর এটি অতিরিক্তের ফলে জার্মিনাল কোষ দুর্বল হয়ে বিভাজন ক্ষমতা হারিয়ে শুক্রানি তৈরি কমে যায় বলে পরে বাড়ার সম্ভাবনা থাকেনা।