যেসব অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করা যাবে নাঃ-
১। স্ত্রীর মাসিক বা ঋতুস্রাব অবস্থায়।
২। নিফাস (অর্থাৎ মহিলাদের বাচ্চা প্রসবের পর চল্লিশ দিন বা এর কমে যে কয়দিনে রক্ত আসা পরিপূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়) অবস্থায়। এ দু'সময়ের মধ্যে সহবাস করলে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। কেননা, এ সময়ের রক্তের প্রচুর পরিমাণ বিষাক্ত জীবানু থাকে। যার দ্বারা ভয়ানক রোগ হওয়ার সম্ভবনা প্রমাণিত। অনেক পুরষকে দেখা যে, এ সময় সহবাস করার কারণে লজ্জাস্থানে এলার্জী জাতীয় বিভিন্ন রোগ হয়। লজ্জাস্থানে জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়, আবার কারো ধাতু দুর্বলতা দেখা দেয়। এ সময়ের সহবাস দ্বারা সন্তান জন্ম নিলে অনেক ক্ষেত্রে সস্তানের শরীরে বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। শরীরে বিভিন্ন ধরনের ঘা হয়, যা থেকে অনবরত পানি ঝরতেই থাকে। এ সময়ের সহবাসে অনেক মহিলার মাসিকের রক্ত সহজে বন্ধ হয় না। সময় সময় রক্ত ঝরতেই থাকে এবং বাচ্চাদানী বাহিরে বের হয়ে আসে। আবার অনেক সময় মহিলাদের ভ্রুণ নষ্টের রোগ হয়ে থাকে। সাথে সাথে বাচ্চাদানীও দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়াও এসময়ের সহবাসে নারী-পুরুষ উভয়েই বিভিন্ন ধরণের রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। কেননা তুস্রাব ও নেফাসের রক্তে শরীরের ভিতরের রোগ জীবানুযুক্ত অপবিত্র উপকরণ থাকে। সে সাথে বিষাক্ত জীবাণুও থাকে। রক্ত স্রাবের সময় মহিলাদের সর্বক্ষণ রক্ত নির্গত হওয়ার কারণে কারো কারো যৌনাঙ্গটি এক প্রকার ফোলা ও উষ্ণ থাকে। ঋতুস্রাব বা নেফাস থেকে পবিত্র হয়ে গোসল করার আগ পর্যন্ত স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে না।
৩। কাজের ব্যস্ততা বেশি থাকলে সে সময় সহবাস
৪। চিন্তা-ভাবনা, পেরেশানী ও বিচলিত হালতে সহবাস
৫। দুর্বল ও ক্লান্ত অবস্থায় সহবাস না করা।
৬। মাতাল অবস্থায় সহবাস না করা।
৭। পেশাব-পায়খানার চাপ থাকলে সহবাস না করা।
৮। একেবারে খালি পেটে অথবা ভরাপেটেও সহবাস না করা। এ অবস্থায় সহবাসে পেটের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। এমনকি পাকস্থলী কলিজার উপর চলে আসারও সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞদের মতে ভরাপেটে সহবাস করলে শগর (অর্থাৎ পেশাবের সাথে পুঁজ পড়া এবং শরীর খুবই দুর্বল হয়ে যাওয়া) রোগ হয়ে থাকে আবার একেবারে খালি পেটে সহবাস করা শরীরের জন্য আরও ক্ষতিকর। কেননা বীর্যপাতের পর অণ্ডকোষ নিজের খাদ্য চর্বি থেকে তলব করে থাকে। আর চর্বি নিজের খাবার তলব করে কলিজা থেকে। কলিজা তার খাবার তলব করে পাকস্থলী থেকে। ক্ষুধার্ত অবস্থায় পেট থাকে একেবারে খাবার শূন্য। যার কারণে টিবি, ভীতিপ্রদ রোগ, চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। অসুস্থতা থেকে মুক্তির পর শারীরিক দুর্বলতা এখনো অবশিষ্ট আছে এ অবস্থায় সহবাস না করা। মৃগ রোগ, টিবি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সহবাস থেকে দূরে থাকবে। মস্তিষ্ক ক্ষয় হয় এমন কাজের পর সহবাস না করা। যাদের চোখের দৃষ্টির রোগ, শারীরিক দুর্বলতা ও কলিজা, পাকস্থলী দুর্বল, তাদের জন্যও সহবাস করা ক্ষতিকর। তদ্রুপভাবে অর্শ্ব ও যৌনরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সহবাস থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকবে।
৯। স্ত্রীর যদি গনোরিয়া রোগ হয়, তবে চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত সহবাস থেকে যথাসম্ভব দুরে থাকবে।
১০। অসুস্থ অবস্থায় ও জীবাণুযুক্ত বাতাস প্রবাহের সময় সহবাস না করা উচিত।
জ্ঞানী ব্যক্তিদের ধারণা মতে চাঁদের এগারো তারিখে সহবাস করা নিজের বয়স কমিয়ে ফেলারই নামান্তর। তারা আরো বলেন, চাঁদের প্রথম রাত, মধ্য রাত এবং শেষ রাত অর্থাৎ মাসের শেষ দিনের রাতে সহবাস করবে না। কেননা এ সময়ে মহিলাদের সাথে শয়তান সহবাস করে থাকে, ফলে এ সময়ে স্বামী সহবাস করার দ্বারা সন্তান জন্ম নিলে অধিকাংশ সন্তান দুর্বল, বিকলাঙ্গ ও অঙ্গহানী হয়ে থাকে। প্রাপ্ত বয়সের পূর্বে ভ্রূণ তৈরী হলে সে সন্তান অসুস্থ অবস্থায় জন্ম গ্রহণ করে। বৈজ্ঞানিদের মতে রাত্রে প্রথমাংশে সহবাসের দ্বারা সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে সেসব সন্তান অল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করে। আর রাতের শেষ প্রহরে সহবাস করার দ্বারা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সন্তান সুস্থ সবল ও ধর্মভীরু হয়ে থাকে।