সহবাসের স্থায়িত্বকাল যেমন হওয়া উচিতঃ-
অনেক সময় কোনো কোনো স্বাস্থ্যবান পুরুষ সহবাস করতে গিয়ে বীর্যধারণ ক্ষমতার অভাব অনুভব করে থাকে। এতে তার মনে করার কিছুই নেই, তা কোনো কোনো সময় অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে হয়ে থাকে। কোনো রোগ-ব্যাধির কারণে হয়েছে তা মনে করার কারণ নেই। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় সহবাস করার কারণে যদি তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করবে।
অবশ্য সহবাসের সময় তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হলে স্ত্রী তৃপ্তি পায় না, স্ত্রী যাতে চরম পুলক লাভ করতে পারে সেদিকে স্বামীকে লক্ষ্য রেখে বীর্যপাতকে দীর্ঘায়িত করতে হবে। সহবাসের স্থায়িত্বকাল যাতে বেশী হয়, সেদিকে স্বামীকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
সহবাসের সময় স্থায়িত্ব বাড়ানো এবং বীর্যপাতকে দীর্ঘায়িত করার জন্য যে সমস্ত প্রক্রিয়া পালন করা দরকার তা স্বামীর মন মানসিকতার উপর নির্ভর করে থাকে। যেমন -
স্ত্রী-সহবাসের সময় মনকে যৌন চিন্তা হতে দুরে সরিয়ে রাখলে অনেক সময় বীর্যপাত দেরীতে হয়। স্ত্রী সঙ্গমকালে যোনী নালীতে পুংলিঙ্গ দ্রুত উঠা নামার সময় বীর্য বের হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারলে সে সময় নিঃশ্বাসকে বুক ভরে ভিতরে টেনে নিলে সাধারণত বীর্যপাত বন্ধ হয়ে থাকে। আবার লিঙ্গ উঠা-নামার সময় একটু বিশ্রাম নিলেও অনেক ক্ষেত্রে বীর্যপাত দীর্ঘায়িত হয়ে থাকে। অথবা সঙ্গমকালে খুব ধীর গতিতে লিঙ্গ চালনা করলে স্থায়িত্বকাল বেশী হয়ে থাকে। কোনো কোনো সময় মলদ্বার অতি জোরে চেপে ধরে রাখলে বীর্যপাত দেরীতে হওয়ার সুফল পাওয়া যায়। কখনো যৌন উত্তেজনাকে আয়ত্বে রেখে মন-মানসিকতাকে সুস্থ রেখে ধৈর্য্য ধারণ করে সহবাস করলে স্থায়িত্ব বেশী হতে পারে। মূল কথা হল, সকল নারীরই ঘর্ষণে তৃপ্তি হয়ে থাকে। অতএব, পুরুষের এই দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে যে, কি প্রকারে মৈথুনের বা ঘর্ষণের স্থায়িত্বকে বাড়ানো যায়। এই বিষয়ে প্রতিটি স্বামী নিজ নিজ বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে পন্থা উদ্ভাবন করে নিবে।
কিন্তু কোনো অবস্থাতেই অসম্ভব রকমের সঙ্গমের জন্য স্থায়িত্বকাল লম্বা করবে না। সম্ভব হলে আধা ঘণ্টার উপরে সঙ্গমকাল স্থায়িত্ব করবে না। তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মোটকথা হল এই যে, স্বামী-স্ত্রী উভয়ের একইভাবে সমপুলক অনুভব করা বা তৃপ্তি লাভ করা যৌন মিলনের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ।