একবারে দূর করাটা প্রায় অসম্ভব, কারণ এখন আমাদের জীবনের সাথে এন্ড্রয়েড ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। তবে নিচের কিছু কাজ করে আস্তে আস্তে আসক্তি কমানোর চেষ্টা করতে পারেন।
- খুব দরকার না হলে (যেমন বাসায় থাকলে বা পড়াশোনার সময়), নোটিফিকেশন, ডেটা, ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখা বা এয়ারপ্লেন মোদ অন রাখা। দেখা যায় কোন একটা কাজ করার সময় হঠাৎ ফোনে একটা কল বা মেসেজ ইত্যাদি আসে যেটা খুব একটা জরুরি নয়, কিন্তু সেটা চেক করতে গিয়ে ফোন হাতে নিলে বেশ কয়েক মিনিট এমনিতেই ব্রাউজিং বা অন্য কিছুতে চলে যায়।
- তেমন কোন দরকার না হলে ফেসবুক বন্ধ রাখা, একাউন্ট ডিএক্টিভেট বা রিমুভ করে ফেলা যেতে পারে। সত্যি কথা বলতে ফেসবুকের নেশাটাই সবচেয়ে বড় নেশা বর্তমানে, ভালো করে চিন্তা করলে দেখবেন এই ফেসবুকের সামাজিকতা রক্ষা করার যে অভ্যাস, এটা আসলে অনেকটাই লোকদেখানো আর অদরকারি। সাহস করে একবার ফেসবুক একাউন্ট ডিলিট করে দেখুন, তেমন কোন সমস্যাই হবে না, শুধু প্রথম করেকদিন একটু অস্বস্তি ছাড়া। তবে পড়াশোনা, চাকুরী বা ব্যবসার প্রয়োজনে একটা লকড একাউন্ট রাখতে পারেন, যেখানে ফ্রেন্ডলিস্ট এবং আপনার দরকার ছাড়া এক্টিভিটি খুবই সীমিত।
- বই পড়ার অভ্যাস করতে পারেন। তবে দয়া করে বইয়ের পিডিএফ না! হ্যাঁ, বিশেষ প্রয়োজনে এন্ড্রয়েডে বই পড়া যেতেই পারে, তবে সেটা যাতে খুব সীমিত হয়। অনেকক্ষণ মোবাইলে বই পড়লে চোখের ক্ষতিও হতে পারে। আর এতে নেশা কমবে না, বরং মোবাইলে বই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে অন্য কিছু (গেমিং, ব্রাউজিং) করতে ইচ্ছা করবে। তাই ধার করে হলেও হার্ডকপি বই পড়ুন।
- মোবাইলে গেম খেলা বা ফেসবুক চালানোর জন্য কখনো মন খুবই আনচান লাগলে, ঠিক তখনই মোবাইল না চালিয়ে একটু সময় নিন। যেমন- এখন আপনার মোবাইল চালাতে ইচ্ছা করছে, এখন না করে মিনিট পাঁঁচেক পরে চালান। এভাবে আসক্তি দমনের সময়টা ধীরে ধীরে বাড়ান, ধরুন পরের দিন ইচ্ছা হবার ১০ বা ১৫ মিনিট পরে মোবাইল চালান। এভাবে দেখবেন কয়েকদিন পর নেশার তীব্রতা কিছুটা কমে এসেছে।
- জিমে ভর্তি হতে পারেন বা বাসায় কিছু ব্যায়ামের সরঞ্জাম (ডম্বেল, বার্বেল ইত্যাদি) কিনে শরীরচর্চা করতে পারেন। শরীর কিছুটা ফিট হলে দেখবেন মনও অনেকটা চাঙা লাগবে, ফলে নেশা কমে যাবে।
- পাব্জি, ফ্রী-ফায়ার ইত্যাদির বদলে সরাসরি বন্ধুদের সাথে কিছু খেলতে পারেন, ইন্ডোর হোক বা আউটডোর।।