- হাই-প্রোটিন অর্থাৎ উচ্চ আমিষযুক্ত খাবার খেতে হবে, ডিম-দুধ, মাছ-মাংস ইত্যাদি। তবে খুব চিকন হলে পাকস্থলীও সাধারণত ছোট হয়। তাই খাবারের পরিমাণ আস্তে আস্তে বাড়াতে হবে। যে ২ দিনে ১টা ডিম বা ১ গ্লাস দুধ খেতে পারে, তার জন্য ১ দিনে ৫টা ডিম বা ৫ গ্লাস দুধ খাওয়া বদহজমের কারণ হতে পারে।
- অনেকেই স্বাস্থ্য ভালো করতে চান কিন্তু মনে করেন যে এর জন্য অনেক দামী খাবার খেতে হবে। তবে এটা ঠিক নয়, সাগর ও সবরি কলা তত দামি নয়, কিন্তু অনেক পুষ্টিকর, প্রতিদিন ১ হালি থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে বাড়িয়ে ১০ টার মত খেতে পারেন।
- অনেকে ভাবেন, মানুষ শুকানোর জন্য জিমে যায়, তবে সেটা তাদের জন্য সত্য, যারা মোটা দেখে জিমে যায়। স্বাস্থ্য ভালো করা বলতে আসলে দেহ সুঠাম হওয়া, পেশীগুলো শক্তিশালী হওয়া বোঝায়। চিকন একজন ব্যক্তি যদি জিমে ভর্তি হয়ে অন্তত ১ বছরের জন্য ধরে ধরে শরীরের বিভিন্ন পেশী নিয়ে কাজ করে, তাহলে অবশ্যই সে সুঠাম দেহ লাভ করতে পারবে। তবে জিমের পাশাপাশি অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। অনেকেই অল্প কিছুদিন জিমে গিয়ে রাতারাতি ফলাফল না পেয়ে হতাশ হয়ে যায়। শরীর গঠন করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, এর জন্য অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
- ফাস্টফুড এর পরিবর্তে বিরিয়ানি জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। সপ্তাহে ১-২ বার, যেমন যেদিন জিম বা ব্যায়াম করবেন, সেদিন বা তার পরের দিনগুলোয়, এতে শরীর জিম করার ফলে পেশীতে যে সাময়িক ক্ষত তৈরি হয়, তা সহজে পূরণ করে পেশীগুলো সুগঠিত করতে পারে।
- পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রায় ২-৩ লিটার বা সম্ভব হলে কিছুটা বেশি। পানি পেশী গঠনে কাজে লাগে।
- পর্যাপ্ত ঘুম ঘুমাতে হবে, প্রায় ৭-৮ ঘণ্টার মত।
- Gatorat নামক একটি এনার্জি ড্রিংক আছে, এটি পান করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই ভালো কোন দোকান (সুপারশপ জাতীয়) থেকে সংগ্রহ করতে হবে। জিম করার সময় শুধু পানির পরিবর্তে এটি, তরল গ্লুকোজ বা ফলের জুস খেলে ভালো কাজে দেয়, এতে জিম করার সময় এনার্জি বেশিক্ষণ থাকে এবং বেশি এফোর্ট দেয়া যায়।
- অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে তা পরিত্যাগ করতে হবে।
সর্বোপরি ভালো স্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই ভালো খাবার প্রয়োজন। কম করে করে ধীরে ধীরে খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ বাড়ালে এবং সাথে সাথে পর্যাপ্ত ব্যায়াম, ঘুম, কম টেনশন করা এবং এরকম আরো কিছু সুন্দর অভ্যাসের দ্বারাই সুন্দর স্বাস্থ্য অর্জন করা সম্ভব।।