দেবী চণ্ডীর ইচ্ছায় কলিঙ্গদেশে নেমে এসেছিল প্রবল ঘোরতর বিপর্যয় । সাত দিন ধরে চলতে থাকা প্রবল ঝড় বৃষ্টি সহ নানা বিপর্যয় কলিঙ্গদেশের মানুষের জীবন যাত্রাকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলেছিল ।
প্রথময়ার্ধে : হঠাৎ করেই এক কালো ভয়ংকর মেঘের উদ্ভব হয় কলিঙ্গদেশে । ভয়ঙ্কর মেঘের উপস্থিতির ফলে শুরু হয় প্রবল ঝড় বৃষ্টি যা কলিঙ্গদেশের প্রজাদের বাসভূমি ছাড়তে বাধ্য করে ।
দ্বিতীয়ার্ধে : কলিঙ্গদেশের উপর নেমে আসা ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ কলিঙ্গদেশের মানুষের সারা বছরের খাবার ধ্বংস করে দেয় । প্রবল ঝড়ের কারণে সবুজ শস্য ক্ষেত সব ধূলিসাৎ হয়ে যায় ।
তৃতীয়ার্ধে: সাতদিন ধরে প্রবল বৃষ্টির কারণে কলিঙ্গদেশের আদিবাসীদের সমূহ নষ্ট করে যায় ।
সাতদিন ধরে সূর্যের আলোর উপস্থিতি না পাওয়ার কারণে সবুজ শস্য ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায় বৃষ্টির কারণে ।
চতুয়ার্ধে : প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কলিঙ্গ দেশে দেখা দেয় এক ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি ফলে কলিঙ্গদেশের স্থলভাগ ও জলভাগের পার্থক্য মুছে যায় । সমুদ্রের সুমন ঢেউ কলিঙ্গবাসীর ঘর বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে চলেছে । এই দুর্যোগের কাহিনী কবি কাব্যের ভাষায় ব্যাখ্যা করে বলেছেন
” চারিদিকে বহে ঢেউ পর্বত বিশাল
উড়ে পড়ে ঘরগুলো করে দলমল ।।”