menu search
আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ | প্রশ্ন এবং উত্তর প্রদান করে আমাদের সাইট থেকে আয় করতে পারবেন | তাই দেরি না করে এখনই একাউন্ট করেন |
more_vert
গর্ভবতী বুঝার উপায় কী?
thumb_up_off_alt 0 পছন্দ thumb_down_off_alt 0 জনের অপছন্দ

1 উত্তর

more_vert

কোনো নারী অন্তঃসত্ত্বা হলেন কি না, তা ঝটপট ও প্রায় নির্ভুলভাবে জানতে ব্যবহার করা হয় প্রেগন্যান্সি কিট। এই যন্ত্রের ব্যবহারও সহজ। গর্ভধারণ করলে শরীরে বিটা এইচসিজি নামে একটি হরমোন তৈরি হয়; যার উপস্থিতি প্রস্রাবেও নির্ণয় করা যায়। চাইলে নিজেই প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন। এটিই এই পরীক্ষার মূল পদ্ধতি। কিন্তু অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন সঠিক উপায়ে যন্ত্রটি ব্যবহার করা নিয়ে। ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতা নিয়েও অনেকের মনে সংশয় দেখা দেয়।

প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার সহজ উপায়

যখন করবেন

যাঁদের মাসিক নিয়মিত, তাঁরা মাসিক হওয়ার তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ পর এই পরীক্ষা করবেন। মাসিক অনিয়মিত হলে গর্ভাবস্থার লক্ষণ বুঝতে পারলে পরীক্ষা করুন।

যেভাবে করবেন

সকালবেলার প্রথম প্রস্রাব দিয়ে পরীক্ষা করলে ভালো। দিনের যেকোনো সময় করলেও চলবে, সে ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় প্রস্রাব ধরে রাখতে হবে। প্রতিটি স্ট্রিপে নির্দেশনা লেখা থাকে। সেই নির্দেশনা মেনে প্রস্রাব দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।

রিপোর্ট কীভাবে বুঝবেন?

স্ট্রিপে একটি রঙিন রেখা বা লাইন এলে বুঝবেন প্রেগন্যান্সি নেগেটিভ, অন্তঃসত্ত্বা নন। স্ট্রিপে পাশাপাশি দুটি রঙিন রেখা বা লাইন দেখা গেলে পজিটিভ, এমনকি হালকা রেখা হলেও পজিটিভ ধরা যাবে। মানে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।

যদি কোনো রঙিন রেখা না দেখা যায়, তবে পরীক্ষা বাতিল বলে ধরে নিতে হবে এবং আবার আরেকটি স্ট্রিপ দিয়ে করতে হবে। আধা ঘণ্টা পর নেগেটিভ ফলাফল পজিটিভ হলেও রিপোর্টটি অগ্রহণযোগ্য।

নেগেটিভ কিন্তু মাসিক হচ্ছে না?

বাড়িতে প্রেগন্যান্সি টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ পেয়েছেন কিন্তু এরপরও মাসিক হচ্ছে না, তাহলে আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করে আবার পরীক্ষা করবেন। এবারও নেগেটিভ হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। প্রেগন্যান্সি ছাড়া অন্যান্য কারণেও মাসিক বন্ধ হতে পারে।

পরীক্ষার সত্য-মিথ্যা

প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে এই কিট নির্ভুল তথ্য দেয়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটি ফলস পজিটিভ হতে পারে। মানে অন্তঃসত্ত্বা নয়, তবু পজিটিভ হতে পারে। যেমন এইচসিজি হরমোনযুক্ত কোনো ওষুধ সেবন করলে, কোনো কোনো রোগে এইচসিজি হরমোন অতিমাত্রায় নিঃসৃত হয় (মোলার প্রেগন্যান্সি, কোরিওকারসিনোমা, আইলেট সেল টিউমার ইত্যাদি)। গর্ভপাতের পরপর বা সন্তান জন্মের ৪ সপ্তাহের মধ্যে টেস্ট করলে পজিটিভ হতে পারে। কারণ তখনো হরমোন থেকে যায়। কিটের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ পার হয়ে গেলে বা কিট ব্যবহার অযোগ্য হলে ভুল রিপোর্ট আসতে পারে।

রিপোর্ট ফলস নেগেটিভ হয় কেন?

আবার উল্টোটাও হতে পারে। রিপোর্ট নেগেটিভ দেখাচ্ছে কিন্তু আসলে আপনি অন্তঃসত্ত্বা। কেন এমন হয়? যদি নির্ধারিত সময়ের আগেই টেস্ট করে ফেলেন (মাসিকের তারিখের এক সপ্তাহ পার না হতেই)। যাঁরা প্রস্রাব ধরে রাখতে পারেন না বা টেস্টের আগে প্রচুর পানি পান করলে প্রস্রাবে হরমোনের মাত্রা কম থাকায় নেগেটিভ আসতে পারে।

এটাই কি শেষ কথা?

কিট দিয়ে রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তিনি কিছুদিন পর রক্তের কিছু সাধারণ পরীক্ষা আর আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে পরামর্শ দেবেন। সন্দেহ হলে ল্যাবরেটরিতে গিয়ে আবার প্রস্রাব পরীক্ষা করে নিতে পারেন। 

thumb_up_off_alt 0 পছন্দ thumb_down_off_alt 0 জনের অপছন্দ

392,501 টি প্রশ্ন

384,245 টি উত্তর

138 টি মন্তব্য

1,347 জন সদস্য

337 অ্যাক্টিভ ইউজার
0 সদস্য 337 অতিথি
আজ ভিজিট : 163525
গতকাল ভিজিট : 206710
সর্বমোট ভিজিট : 112465504
এখানে প্রকাশিত প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোনপ্রকার আইনি সমস্যা সবজানো.কম বহন করবে না৷
...